ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলমানদের কঠোর ভাষায় আক্রমণ করছেন। হাটছেন ধর্মীয় মেরুকরণের পথে। এবারের ভোটে কংগ্রেস ও মুসলমানদের সমার্থক করে সরাসরি আক্রমণাত্মক হয়েছেন তিনি। রোববার রাজস্থানের নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দেবে। পারিবারিক সোনা-রুপার সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাঁটোয়ারা করে দেবে।
ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ। জনসভায় আসা মানুষের কাছে মোদি জানতে চান, তাঁরা তাঁদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি মুসলমানদের মধ্যে, যাঁদের অনেক বাচ্চাকাচ্চা হয় তাঁদের মধ্যে, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হতে দেবেন কি না।
এই ভাষণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, প্রথম দফার ভোট বিরুদ্ধে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেছেন, মোদির আমলেই দেশের ১ শতাংশ মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত হয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ। সাধারণ হিন্দুদের তিনি মুসলমানদের ভয় দেখাচ্ছেন অথচ তাঁদের সম্পদ কেড়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ধনী করছেন। মোদি মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী ও বহু সন্তানের জন্মদাতা বলছেন। এসব করছেন ভোট পাওয়ার জন্য।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, মোদি যে মিথ্যা বলেন, তা শুধু দেশবাসীই নয়, গোটা পৃথিবী জানে। যেভাবে তিনি কংগ্রেসের ‘ন্যায়পত্র’ ও মনমোহন সিংয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিলেন, তা নোংরা রাজনীতির উদাহরণ।