বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোন বিচারক পাবলিক স্টেটমেন্ট দিতে পারবেনা।
শুক্রবার (৩ মে ২০২৪) জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত নাগরিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতির উদাহরণ দিয়ে ওবায়দুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অফিস একটি পাবলিক অফিস, শুধু তিনি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে পারেন। অন্য কোন বিচারক বা বিচারপতি তা পারেননা। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেটি ধাপে ধাপে নিম্ন আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে।
মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিণী হাফিসা বানু, মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, জেলা পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা চেম্বারের সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতার নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মুজিব, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত ও পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো: নাহিদ হোসেন।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিনিয়র সিটিজেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সর্বস্তরের মানুষ।
সভাশেষে প্রধান বিচারপতিকে সোনার তৈরি ‘দুটি পাতা একটি কুড়ি’র চায়ের ক্রেস্ট ও সোনার চাবি উপহার দেন পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমান। এর আগে প্রধান বিচারপতি মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থী মানুষের জন্য নবনির্মিত ন্যায়-কুঞ্জ এর শুভ উদ্বোধন করেন।