লন্ডনে শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদের আড়ম্বরপূর্ণ ঈদ পুনর্মিলনী

প্রবাসী যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদের আড়ম্বরপূর্ণ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ইস্ট লন্ডনের অট্রিয়াম সেন্টারে। সোমবার (২২ এপ্রিল ২০২৪) ভ্রাতৃশিবির ইউকে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে গ্রেট ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে শিবিরের প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী সমবেত হয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কর্ণধার জননেতা আবু নাসের মুহাম্মদ আব্দুজ্জাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ শাহজাহান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে দারসে কোরআন পেশ করেন বরেণ্য ইসলামিক স্কলার ড. আব্দুস সালাম আযাদী। আরো বক্তব্য রাখেন লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ ও কাউন্সিলর কবির আহমদ, ছাত্র শিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সুলেখক আব্দুল লতিফ-সহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখার সাবেক সভাপতিবৃন্দ।

দুটি পর্বে পরিচালিত ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র শিবির সিলেট মদন মোহন কলেজের সাবেক সভাপতি সিরাতুল আম্বিয়া। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার বদরে আলম দিদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক শামসুল আলম গোলাপ, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ ইয়াহইয়া এবং সিলেট মহানগরীর সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সিপার।

বক্তারা বলেন, ইসলামী সমাজ বিপ্লবের সংগ্রামে নিয়োজিত জামায়াত ও ছাত্র শিবির জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, ইজ্জত ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা-সহ মানুষের সব ধরণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগাম করছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রবাসেও ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়। বিলেতের মুসিলম কমিউনিটি এসোসিয়েশন-সহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনে সম্পৃক্ত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ নিজেদের জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যে বক্তব্য যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিকে অনুপ্রাণিত করবে।

ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মী বহুদিন পর একে অপরকে দেখে অভিভূত হয়েছেন, পরস্পর জড়িয়ে ধরে আনন্দে বিহ্বল হয়েছেন। রাজনৈতিক ভাবে নিপীড়িত হয়ে যারা দেশ ত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে আহত ও গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে কাছে পেয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।

শহীদি কাফেলার গগণজয়ী আল্লাহু আকবার স্লোগানে মুখরিত ছিল বিশাল হল। আনন্দমুখর পরিবেশের এই বর্ণিল উৎসবে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বক্তব্য, প্রাণবন্ত গান ও হৃদয়স্পর্শী মোনাজাত-সহ বৈচিত্রময় কর্মকান্ডে উপস্থিত সকলে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *