পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি সংক্রান্ত তোষাখানা মামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। দেশটির নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দায়ের করা বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান খানের পিটিশন দায়েরের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এই রায় ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের আদালতের এই সিদ্ধান্তে বড়সড় স্বস্তি পেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট জানিয়ে দিল তোষাখানা মামলার আদৌ কোনও সারবত্তা নেই। গত ১০ জুন ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। কিন্তু হাই কোর্ট সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিল।
এর আগে এই মামলায় ইমরান খানকে তলব করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় সব উপহারের রেকর্ড সরবরাহ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। তোশাখানা থেকে ইমরান খান ১০৮টি উপহার পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত বছর তোশাখানা মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ- ইমরান খান বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপহার বিক্রি করার পর যে তহবিল পেয়েছেন তা ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়। এর আগেও তোষাখানার সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধীরাও। এবার সেই মামলাতেই স্বস্তি পাওয়ায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ের তলার মাটি যে শক্ত হল তা বলাই বাহুল্য।
দুর্নীতি মামলায় মে মাসেই গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। পরে তিনি মুক্তি পেলেও বিপাকে পড়ে তার দল। একের পর এক শীর্ষ নেতারা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ছেড়ে দেন। ইমরানের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করতে গিয়ে অন্তত ১০ হাজার দলীয় সমর্থক গ্রেপ্তারও হন। এমনকি ইমরানের দলকে নিষিদ্ধ করতেও উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। সব মিলিয়ে পাক রাজনীতিতে কঠিন সময় পার করছেন বিশ্বকাপজয়ী পাক অধিনায়ক। কিন্তু তোষাখানা মামলায় বেশ স্বস্তি পেলেন তিনি।