২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত কালজয়ী কবি আল মাহমুদ স্মরণে
তুমি এলে আগুনের ফুলকির মতো
রৌদ্র কিরণে ঝলসিত চারিদিক
উচ্ছ্বাস আনন্দ ছড়িয়ে মুখরিত
ছেলেবুড়ো আনন্দে দিক-বিদিক।
উনুনের ধার ঘেঁষে দাই মা
আয়াতুল কুরছি পড়ে
আগুনের আঁচে বসে তা দেয়
সফেদ কাপড়ের ভাজে, জিন-ভূত
যেন আসেনা ঘরে।
ছায়ারৌদ্র মেঘের খেলা
বনশ্রী প্রফুল্ল হয়ে ওঠে
দীপ্ত রাঙ্গা উদয়ের বেলা।
গ্রীষ্মের দাবদাহ মুছে যায়
সোনার রবি ছড়ায় কিরণ
মরু মুষিকের উপত্যকা’য়।
যেভাবে বেড়ে ওঠি প্রাণের স্পন্দনে
জ্যোতিস্রোতে মিশেছে প্রিয় স্বদেশ
জীবন্ত মুক্তিসংগ্রামে কাবিলের বোন
স্বাধীনতার স্বপ্ন জাল বোনে উপমহাদেশ।
কবির আত্মবিশ্বাস কবির কররেখা
আগুনের মেয়ে অর্ধেক মানবী
নিশিন্দা নারী যতই হোক দেখা।
কবির সৃজন বেদনা কবিতার আঁচল
দশ দিগন্তে উড়াল ডাহুকী দিনযাপন
কবিতার জন্য বহুদূর কবি ও কোলাহল।
তুমি, আরব্যরজনীর রাজহাস
আমি, দূরগামী
প্রহরান্তের পাশ ফেরা এক চক্ষু হরিণ
পাখির কাছে ফুলের কাছে
কালের কলস- কিরণ ছড়ায়।
তুমি, সোনালি কাবিন
মায়াবী পর্দা দুল ওঠো
বখতিয়ারের ঘোড়া’য়।
তুমি, অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
প্রহরান্তের পাশফেরা, দোয়েল ও দায়িতা
লোক লোকান্তর- বিদ্যুৎ চমকায়।
তোমার ভরাট গলার সুকন্ঠ উচ্চারণ
মেঘমালা হয়ে উড়ছে হাওয়ায়
শ্যামল শ্যামল নীলিমায়।
সৌরভসিক্ত আল মাহমুদ
বাংলাভাষা হয় গতিময়
তোমার দৃপ্ত রুপালি আলোয়।