মুসা আল হাফিজের দার্শনিক অন্বেষা ।। সাঈদ চৌধুরী

প্রবন্ধ-কলাম সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

দুই

শুধু সাহিত্যি বা গবেষণার আদলে মুসা আল হাফিজের চিন্তার ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে পুরোপুরি বোঝা যায় না। লেখা ও চিন্তার ধারা প্রমাণ করে যে, তিনি দর্শনে নিমজ্জিত ভাবুক। সময়, সমাজ ও সভ্যতাকে তিনি এক নতুন আলোকে দেখার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক দৃষ্টিকোণের কিছু দিক নিয়ে এখানে আলোকপাত করা যায়।

১. সত্তাতত্ত্ব

মুসা আল হাফিজের অন্তলোজি (Ontology) বা তার অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য তার চিন্তার গভীর বিশ্লেষণ প্রয়োজন। অন্তলোজি হলো দর্শনের সেই শাখা- যেখানে অস্তিত্ব, সত্তা এবং বাস্তবতার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। মুসা আল হাফিজের অন্তলোজিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গির কতিপয় দিক লক্ষ্য করা যায়।

অস্তিত্ব ও সভ্যতার দ্বন্দ্ব: তিনি সভ্যতাকে একটি চলমান বাস্তবতা হিসেবে দেখেন, যেখানে প্রতিটি জাতির অস্তিত্ব নির্ভর করে তাদের চিন্তার শক্তি ও দার্শনিক ভিত্তির ওপর। বস্তুত সভ্যতার উত্থান-পতন নিয়ে তার ব্যাখ্যা অস্তিত্ববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

মানবসত্তার গভীর অনুসন্ধান: মুসা আল হাফিজের লেখায় মানবসত্তা ও আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন নানাভাবে উচ্চারিত হয়। তিনি মনে করেন, প্রতিটি মানুষ ও জাতির অস্তিত্বের সংকট তাদের আত্মপরিচয় হারানোর মধ্যেই নিহিত। তিনি আত্মপরিচয়ের সন্ধানকে শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সমষ্টিগত সভ্যতার প্রশ্ন হিসেবে দেখেন।

অদৃশ্য ও দৃশ্যমান বাস্তবতার সংযোগ: মুসার লেখায় চেতনাগত ও অধিবাস্তব (metaphysical) উপাদান রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের অস্তিত্ব শুধু বস্তুবাদী বাস্তবতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এক গভীর দার্শনিক ও ঐশী অন্বেষণের বিষয়।

ইতিহাস ও অস্তিত্বের সমীকরণ: মুসা আল হাফিজ ইতিহাসকে কেবল অতীতের রেকর্ড নয়, বরং একটি চলমান অস্তিত্ববাদী প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, ইতিহাসে যেসব জাতি নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা দর্শন, বোধ-বিশ্বাস ও আত্মপরিচয়ের অবক্ষয়ে ধ্বংস হয়েছে।

ইসলাম ও অস্তিত্ববাদ: ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি অস্তিত্বের প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন। তার দৃষ্টিতে ইসলামী সভ্যতা কেবল একটি ধর্মীয় ব্যবস্থার অংশ নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ অস্তিত্ববাদী কাঠামো, যা চেতনা, চিন্তা ও বাস্তবতার সমন্বয়ে গঠিত।

২. জ্ঞানতত্ত্ব

মুসা আল হাফিজের অন্তলোজি মূলত সভ্যতা, ইতিহাস, আত্মপরিচয় ও অস্তিত্বের গভীর প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত। তিনি অস্তিত্বের সংকটকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, বরং সামষ্টিক ও সভ্যতাগত দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখেন। তার দর্শন একধরনের সভ্যতাগত অস্তিত্ববাদ, যেখানে চেতনা, ইতিহাস ও সামষ্ঠিক বিকাশ একসূত্রে গাঁথা।

এপিস্টেমোলজি হলো দর্শনের সেই শাখা- যেখানে জ্ঞানের উৎস, প্রকৃতি, বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মুসা আল হাফিজের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তার জ্ঞানতত্ত্ব প্রধানত তিনটি মূল ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত:

ইলাহি জ্ঞান বনাম মানবিক জ্ঞান: এখানে মুসা বিশ্বাস করেন, প্রকৃত জ্ঞান দুই ধরনের- ক. ইলাহি বা আসমানী জ্ঞান– যা ওহী বা প্রত্যাদেশ (revelation) থেকে আসে এবং তার প্রক্রিয়া মানুষের বোধগম্যতার ঊর্ধ্বে। খ. মানবিক জ্ঞান – যা অভিজ্ঞতা, যুক্তি ও ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়।

তিনি এই জ্ঞানের গুরুত্ব ও জরুরতকে মূল্য দেন। উভয় জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয়ের সূত্র পেশ করেন। তিনি বলেন ওহী হচ্ছে এমন বুদ্ধিবৃত্তি, যা মানুষের বাইরে থেকে মানুষের ভেতরে আসে। আর আকল হলো এমন বুদ্ধিবৃত্তি, যা মানুষের ভেতর থেকে বাইরে বিকশিত হয়। ওহী ও যুক্তিবাদের দ্বন্দ্বে তিনি ইমাম গাজ্জালী ও ইবনে রুশদের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি কুরআনকে চূড়ান্ত জ্ঞান ও সত্যের উৎস হিসেবে দেখেন, যা মানুষের জ্ঞানতাত্ত্বিক কাঠামোকে নির্ধারণ করে।

প্রচলিত জ্ঞান কাঠামোর প্রতি প্রশ্নবোধকতা: পাশ্চাত্য এপিস্টেমোলজির প্রতি তিনি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। তার মতে, আধুনিক জ্ঞানব্যবস্থা উপনিবেশবাদী চিন্তার মাধ্যমে গঠিত, যা সত্যকে বিকৃত করে। তিনি প্রশ্ন করেন “কে জ্ঞানের মালিক? জ্ঞানের উপর কার জমিদারী?” — এমন প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি দেখাতে চান যে জ্ঞান কেবল নিরপেক্ষ কিছু নয়, বরং এটি শক্তির (Power) সাথে সম্পর্কিত।

ইতিহাস ও জ্ঞানতত্ত্ব: ইতিহাসকে তিনি জ্ঞান অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে দেখেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিজ্ঞান ও ইসলামী ইতিহাসচেতনার মধ্যে পার্থক্য টানেন । তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস ও বিকৃত ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য নিরপেক্ষ ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা জরুরি।

আত্মপরিচয় ও জ্ঞানের সম্পর্ক: মুসা আল হাফিজ মনে করেন, কোনো জাতির জ্ঞান কাঠামো তার আত্মপরিচয় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “যে জাতি তার নিজস্ব জ্ঞান-উৎস ভুলে যায়, সে জাতির পরাধীনতাই নিয়তি।”

মুসা আল হাফিজের এপিস্টেমোলজি ইলাহি জ্ঞান, ঐতিহাসিক সত্য ও আত্মপরিচয়ের ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি পাশ্চাত্য জ্ঞানতাত্ত্বিক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইসলামী ও দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিকল্প চিন্তার প্রস্তাব দেন।

৩. বিশ্বতত্ত্ব

মুসা আল হাফিজের কসমোলোজি বা বিশ্বতত্ত্ব একটি গভীর দার্শনিক কাঠামো, যেখানে বিজ্ঞান, সুফিবাদ, ইতিহাস ও নন্দনতত্ত্ব একত্রে মিশে গেছে। তার চিন্তায় বিশ্বজগতের প্রকৃতি কেবল বস্তুগত নয়; বরং এটি আধ্যাত্মিক, ঐশী ও রহস্যময়তায় পরিপূর্ণ। এর কতিপয় দিক উল্লেখ করা যেতে পারে।

বিশ্বজগতের প্রকৃতি ও গঠন: মুসা মনে করেন, বিশ্বজগতের অস্তিত্ব কেবল পদার্থবিদ্যা বা বিজ্ঞানের নিয়মে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর পেছনে একটি ঐশী পরিকল্পনা ও গভীর উদ্দেশ্য রয়েছে। তার চিন্তায় কসমসের (সৃষ্টিজগতের) প্রকৃতি কেবল নিউটনীয় যান্ত্রিকতার মধ্যে আবদ্ধ নয়; বরং এটি একটি গতিশীল, সুশৃঙ্খল উপন্যাসের মতো, চেতনা-সংশ্লিষ্ট , বিবর্তনমুখী ও সুপরিকল্পিত বাস্তবতা।

সৃষ্টি ও অস্তিত্বের রহস্য: সৃষ্টি ও অস্তিত্বকে তিনি একটি চলমান ও রহস্যময় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেন, যা কেবল বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। দার্শনিক যুক্তি হাজির করে তিনি দাবি করেন, আল্লাহর ইচ্ছা ও চেতনা এই মহাবিশ্বের মূল চালিকাশক্তি। তিনি ‘নুর’ (ঐশী আলো) ও ‘কালাম’ (ঐশী বাণী)-এর ধারণাকে কসমোলজির কেন্দ্রে রাখেন, যা ইসলামী ওহী-রহস্য ও তত্ত্বচিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ।

স্থান, সময় ও পরকাল: মুসা আল হাফিজ মনে করেন- সময় কেবল আপেক্ষিক ধারণা নয়; বরং এটি মানুষের চেতনার একটি স্তর। তিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে একই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখেন, যেখানে মানুষের চিন্তা, কর্ম ও আধ্যাত্মিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বাস্তবতার পরিবর্তন হয়। পরকাল সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি চিরায়ত ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সংযুক্ত। তবে একে কেবল আক্ষরিক অর্থে তিনি সীমাবদ্ধ করেন না। বরং একটি বহুমাত্রিক বাস্তবতা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

মানুষের অবস্থান ও দায়িত্ব: মুসা মনে করেন, মানুষ কেবল একটি উন্নত প্রাণী নয়; বরং সে কসমিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সৃষ্টি, যার কাছে জ্ঞান, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ রয়েছে। বিশ্বতত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ স্রষ্টার প্রতিনিধিত্বকারী (খলিফা), এবং তার চিন্তা ও কর্ম এই মহাবিশ্বের ইতি-নেতির ওপর প্রভাব ফেলে।

নন্দন ও সৌন্দর্যের কসমোলজি: বিশ্বজগতের সৌন্দর্য কেবল নান্দনিক নয়, বরং এটি এক ধরণের আয়াত ও ইবরত বা তত্ত্বউন্মোচক ভাষা, যা মানুষ জাগ্রত হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে। প্রকৃতি, মহাবিশ্বের বিন্যাস এবং মানব অস্তিত্ব—সবকিছুই একটি পরিপূর্ণ শিল্পকর্মের অংশ।

প্রকৃতপক্ষে মুসা আল হাফিজের কসমোলোজি বিজ্ঞান, সুফিবাদ ও দর্শনের এক সংমিশ্রণ, যেখানে বিশ্বজগতকে শুধু বস্তুগত নয় বরং আধ্যাত্মিক ও ঐশী বাস্তবতার প্রকাশ হিসেবে দেখা হয়। তার দৃষ্টিতে, এই মহাবিশ্ব কেবল একটি শূন্যতা থেকে আসা বস্তুগত সত্তা নয়; বরং এটি সৃষ্টিকর্তার চেতনা ও পরিকল্পনার একটি মহত্তম প্রকাশ।

৪. মূল্যবোধতত্ত্ব

মূল্যবোধতত্ত্ব বা এক্সিওলোজি হলো দর্শনের সেই শাখা- যেখানে মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সৌন্দর্যবোধের প্রকৃতি ও ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। মুসা আল হাফিজের চিন্তায় মূল্যবোধতত্ত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তার দর্শন প্রধানত নৈতিকতা (Ethics), ন্যায়বিচার (Justice) ও সৌন্দর্যবোধ (Aesthetics)— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

নৈতিকতা ও সত্যের অনুসন্ধান: মুসা আল হাফিজ মনে করেন, নৈতিকতা (Ethics) কেবল একটি সামাজিক বিধান নয়; বরং এটি একটি চেতনা, যা সভ্যতা গঠনের ভিত্তি। তিনি পাশ্চাত্য বস্তুবাদী নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, “যে সমাজ সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে না, সেই সমাজ টিকে থাকার ন্যায্যতা হারায়। ” তার লেখায় ইসলামী নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের গুরুত্ব বারবার উঠে আসে।

ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধের ভিত্তি: মুসা বিশ্বাস করেন, ন্যায়বিচার (Justice) মানবজীবনের ও সভ্যতার একটি মৌলিক নীতি। তার মতে, যে সভ্যতা ন্যায়ের ভিত্তিতে দাঁড়ায় না, সেটি স্বল্পস্থায়ী হয়। সেটি ইতিহাসে দুর্ঘটনার স্মৃতি হিসেবে বেঁচে থাকে। তিনি সভ্যতার অবক্ষয়কে ব্যাখ্যা করেন আখলাক ও আদল বা ন্যায়ের অভাবের সাথে যুক্ত করে। মুসলিম সভ্যতা সম্পর্কে বলেন, “আদল বা সামষ্টিক ন্যায় ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়।”

সৌন্দর্যবোধ ও অস্তিত্বের দর্শন: মুসা আল হাফিজের কবিতা ও গদ্যে এক ধরনের গভীর সৌন্দর্যবোধ (Aesthetics) রয়েছে, যা কেবল ইন্দ্রিয়গত নয়, বরং অস্তিত্ববাদী (Existential) এবং আধ্যাত্মিক (Spiritual)। তিনি মনে করেন, প্রকৃত সৌন্দর্য সেই, যা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সম্পর্কিত।

পাশ্চাত্য নান্দনিকতাকে তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “সৌন্দর্য যদি সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তবে তা কেবল মোহ সৃষ্টি করে, কিন্তু চেতনাকে জাগ্রত করতে পারে না।”

মুসা আল হাফিজের এক্সিওলোজি মূলত নৈতিকতা, ন্যায়বিচার ও সৌন্দর্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে। তিনি বিশ্বাস করেন, একটি সমাজের অস্তিত্ব নির্ভর করে তার মূল্যবোধের শক্তির ওপর। তার চিন্তা আমাদেরকে শেখায় যে সত্য, ন্যায়বিচার ও সৌন্দর্য পরস্পর সম্পর্কিত এবং এই তিনটি ছাড়া কোনো সভ্যতা টিকে থাকতে পারে না।

৫. যুক্তিবিজ্ঞান

লজিক বা যুক্তিবিজ্ঞান দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা- যা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে। মুসা আল হাফিজের চিন্তায় যুক্তিবাদী (Rationalist) এবং আধ্যাত্মিক (Spiritual) দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য সমন্বয় দেখা যায়। তিনি একদিকে ধ্রুপদী (Classical) ও সমসাময়িক (Contemporary) যুক্তির কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেন, অন্যদিকে ইসলামী যুক্তিবাদের (Islamic Rationalism) গুরুত্বও তুলে ধরেন। তার যুক্তিবিশ্লেষণের কতিপয় দিক আমরা তুলে ধরছি।

(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *