যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন ম্যানচেস্টারে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
একুশের প্রথম প্রহরে সহকারী হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেন ও দূতালয় প্রধান আবু সালেহ মো. মুসা যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যামস্থ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২য় পর্বে সহকারী হাই কমিশনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনের তৃতীয় পর্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং ‘মাতৃভাষায় অভিব্যক্তি প্রকাশ’ এর অংশ হিসেবে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বহুভাষিক শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রদত্ত ভিডিও বার্তাসমূহ প্রদর্শন করা হয়। তারপর ‘৫২ ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে রচিত কবিতা আবৃত্তি এবং সমবেত স্বরে গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানে মুগ্ধতা ছড়ায়।
শেষ পর্বে দুটি প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীগণ ‘মহান ভাষা আন্দোলনের পটভূমি’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনার ইতিহাস ও বৈশ্বিক তাৎপর্য ’ বিষয়ে মূল্যবান ও তথ্য ভিত্তিক আলোচনা করেন।
সহকারী হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেন ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তব্যে বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক প্রসারে সকলকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। বার্নলি’র মেয়র কাউন্সিলর শাহ মনোয়ার হোসাইন প্রবাসে বাংলা চর্চা এবং সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনার ইতিহাস ও বৈশ্বিক তাৎপর্য ’ নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক কন্ঠশিল্পী আব্দুল্লাহিল নোমান আযমী ও কমিউনিটি নেতা আমিন বাবর চৌধুরী।
মহান ভাষা আন্দোলনের পটভূমি উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতা লিটন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ইব্রাহিম খলিল, আনোয়ার চৌধুরী, আতিকুর রহমান, ড. মোহাম্মদ হাসান, মোস্তফা কামাল হোসাইন খান, কাজী লুৎফর রহমান, আব্দুল মালেক প্রমুখ। কবিতা পাঠ করেন নিহিম তাজরিয়ান ও জাহারা জয়িতা হোসেন।
অনুষ্ঠানে জ্ঞানগর্ব আলোচনা, অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজে মজাদার খাবার পরিবেশন ও সহকারী হাই কমিশনের প্রাণবন্ত আতিথেয়তা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।