শব্দের জাদুকর প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর স্মৃতি নিয়ে বই লিখেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা ফারুক আহমেদ। প্রায় দুই যুগের বেশি সময় হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক স্মৃতি জমে ছিল মনের কঠোরে। সেই স্মৃতিগুলোকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে এবার বই আকারে তা প্রকাশ করেছেন ফারুক আহমেদ। বইটির নাম দিয়েছেন ‘স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ’।
হুমায়ূন আহমেদ কথার জাদুতে সকলকে মায়ার বাঁধনে বেঁধেছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই বাঁধন ছিঁড়ে তিনি নিজেই চিরতরে ঘুমিয়ে আছেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায় ছোট্ট মাটির ঘরে। মাটির সঙ্গে আত্মিক বন্ধন গড়ে মিতালী করেছেন ওপার আকাশে।
তিনি ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আজও অনুরাগীরে হৃদয়ে বেঁচে আছেন। গুণী এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুর পর তার অভাব আজও পূরণ হয়নি। তার লেখা ও পরিচালনায় নাটক-সিনেমায় বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন। নাটক-চলচ্চিত্রের চরিত্রে কাজ করা নিয়মিত অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফারুক আহমেদ।
অভিনেতা ও বইটির লেখক ফারুক আহমেদ বলেন, আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম আমার লেখা ‘স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ’ বইটি পাঠক প্রিয়তা পাবে। কারণ বাঙলা ভাষাভাষী মানুষ সকলের হৃদয়েই হুমায়ূন আহমেদ বাস করে। ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ূন আহমেদ কেমন ছিলেন, সেটা যেমন অনেকে জানেন না। তেমনই অনেক অজানা বিষয় আছে বইটির মধ্যে। বইমেলার কিংবদন্তি পাবলিকেশনে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়াও ফারুক আহমেদের ‘ভাঙা চশমা’ নামে আরও একটি বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভাঙা চশমা বইটি মূলত ফেসবুকের কিছু লেখা থেকে নেওয়া। কিছু লেখা করোনার আগে ও পরের। কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে বইটি সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘অচিন বৃক্ষ’ নাটক দিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ফারুক আহমেদের। এরপর ‘বৃক্ষ মানব’, ‘হাবলঙ্গের বাজার’, ‘তারা তিনজন’, ‘চোর’, ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’সহ হুমায়ূন আহমেদের একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।