রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে শনিবার (১৫ মার্চ) ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মাহফিলে দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী-অভিনেতা, সাংবাদিক, গবেষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ী-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশীজনেরা। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই ইফতার মাহফিলে যারা শরীক হয়েছেন আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করছি। আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
ডা. শফিক বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর কেটে গেছে, বহুবার ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তা আজও পূরণ হয়নি। কেন তা পূরণ হয়নি তা বিশ্লেষণের অবকাশ নেই। আমরা মানুষের ইজ্জত রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। কারণ, নৈতিক শিক্ষার অভাবে সারা দেশে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। যার ফলে আছিয়ার মতো কোমলমতি একটি শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আমরা আর এমন ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনা।
তিনি বলেন, জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হয়েছে। আরও ছয়জন নেতাকে কারাগারে বন্দি রেখে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে বরন করেছেন।
জামায়াত আমির বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতি মুক্তি পেয়েছে। জেলখানা থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আজহার ভাই মিথ্যা মামলায় এখনো জেলখানায় অমানবিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। আর যেন আইনের মারপ্যাঁচে তাকে বন্দি করে রাখা না হয়। আমাদের আজহারুল ইসলাম ভাইকে অবিলম্বে আমাদের মাঝে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এই কামনা করি।
তিনি বলেন, বিগত স্বৈরশাসক গত ১৫ বছরে দেশটাকে একটি জঞ্জালে পরিনত করেছে। তাই সবাই মিলে এই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে সবাই একমত। তাই রাষ্ট্র সংস্কারে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
আমরা আশাকরি, অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান জাতির সামনে নির্বাচনের বিষয়টি পরিস্কার করবেন। বাংলাদেশকে গড়তে হলে ১৮ কোটি মানুষকে এক হতে হবে। কোন ষড়যন্ত্রে পা ফেলা যাবেনা। তাই আসুন দলমত নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে সবাই এক হয়ে দেশটাকে গড়ে তুলি।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মুতাসিম বিল্লাহ মাদানী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ।
এছাড়া ইফতারে অংশ নেন জাগপার চেয়ারম্যান রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, সারোয়ার কামাল আজিজি, আমির নেজামি ইসলাম পার্টি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুসাবিন ইজহার, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আমান আযমী, অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, অধ্যাপক ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ড. রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম,
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মাওলানা কাজী ইব্রাহিম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফাজ্জল হোসেন খান, অধ্যাপক মাওলানা আশরাফ আলি আকন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিসের (এনডিজে) প্রধান নির্বাহী ব্রি. জে. হাসান নাসির (অব.), এনডিজে’র নির্বাহী কর্নেল হাসিনুর রহমান (বরখাস্ত) বীর প্রতীক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী হারুন, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোরশেদুল হক ও পরিচালক আবদুল জলিল, মুফতি মাওলানা কাজী ইব্রাহিম, দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক মীর শাহীদুল হক আজম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দিন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার,
দি নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, কালবেলা পত্রিকার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, সাংবাদিক সরদার ফরিদ, সাংবাদিক কাজী রওনাক হোসেন, ইবনে সিনা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মুহাম্মাদ আব্দুজ জাহের, শামীম সাঈদী, মাসুূদ সাঈদী, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক লিটন আরশাদ, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সভাপতি মুক্তাদির অনিক, ডিএসইসি সেক্রেটারি জাওহার ইকবাল খান, দৈনিক সময় এর নির্বাহী সম্পাদক ও মানব টিভি লন্ডনের বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ ফাহিম ফয়সাল, জুলাইয়ে শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের নিহত নেতাদের পরিবারের সদস্য এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েক শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
এইফতার মাহফিলে জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন ও মুবারক হোসাইন,
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির সাবেক এমপি শাজাহান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগরী আমির অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইফতার মাহফিলে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র শিল্পীবৃন্দ।।