হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ সম্পাদক খ্যাতিমান সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। তারা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় সরকার দুঃখ প্রকাশ করে এবং প্রধান উপদেষ্টা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না।
আজ পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’-এর কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনো রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশিষ্ট সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় আবারও দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়। বাসস
জোমায়াতের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
সাংবাদিক নূরুল কবির বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ইংরেজি দৈনিক নিউজ এজ-এর সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব নূরুল কবির তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অভিযোগ করে লিখেছেন যে, তিনি গত ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্স-এ যোগ দিতে বিদেশ যাচ্ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে হয়রানি করেছেন। তাঁকে প্রায় একঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জনাব নূরুল কবির দেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এর সম্পাদক। তার মত একজন সিনিয়র নাগরিককে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হয়রানি করায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আর যেন কাউকে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হতে হয় সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”