গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে আক্রমনের সময় একটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছিল । নিউ ইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুসালেম পোস্ট একথা জানিয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হামাসের হামলার ফলে যেখানে পরমাণু অস্ত্রগুলো রাখা আছে, সেখানে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষতি হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর স্থানীয় সময় ১০টার দিকে হামাসের রকেট হামলায় ঔই ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়। স্যাটেলাইন ছবির মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্টে বলেছে, হামাস সাইটটির তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন ছিল তা স্পষ্ট নয়।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল লিখেছে, হামাসের হামলায় সংবেদনশীল অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয় এমন সুবিধার কাছাকাছি আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্যাটেলাইট ইমেজের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর সকালে বেইট শেমেশের কাছে এসডট মিচা এয়ারবেসের আশেপাশে একটি রকেট আঘাত হানে। এতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং বেসে প্রায় ৪০ একর পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু কৌশলগত সুবিধাগুলিতে পৌঁছাতে দেখা যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের সাথে কথা বলার সময়, ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হ্যান্স ক্রিস্টেনসেন অনুমান করেছেন, সে বেসে ২৫-৫০টি পারমাণবিক সক্ষম জেরিকো মিসাইল লঞ্চার রয়েছে।
ক্রিস্টেনসেনের মতে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক অর্থাৎ পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
বিদেশী প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের কাছে পরমাণু অস্ত্রের একটি ছোট মজুদ রয়েছে, যদিও দেশটি এটি কখনও স্বীকার করেনি।
যদিও জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবে ওয়ারহেডগুলি সম্ভবত আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে, ক্রিস্টেনসেন বলেছিলেন।