বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ মাঙ্কিপক্সের ছড়িয়ে পড়া রোধে আগাম সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
৩০ জুলাই, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির শহীদ ডাক্তার মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এ সময় ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিএসএমএমইউর প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করা হয়।
ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি না মিললেও সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে, বিদেশ থেকে আসা লোকদের পরীক্ষা করানো দরকার। সন্দেহজনক কাউকে মনে হলে আইসোলেটেড করতে হবে। এক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন মাঙ্কিপক্স ইস্যুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপে ‘জরুরি’ পদক্ষেপ চায়
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে ল্যাবরেটরিতে প্রথম বানরের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৯৭০ সালে এই ভাইরাসকে মাঙ্কিপক্স নামকরণ করা হয়। ভাইরাসটির দুটি স্ট্রেইন আছে। এর মধ্যে কঙ্গো বেসিন স্ট্রেইন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেইনের চেয়ে বেশি মারাত্মক। ভাইরাসটি পশু থেকে প্রাণী এবং পশু থেকে মানুষের সংক্রমিত হয়। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত।সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে বলে জানান তিনি। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা বা ড্রপলেট দ্বারা কিংবা স্বল্প দূরত্বে, দীর্ঘক্ষণ সান্নিধ্যে থাকার সময় সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের মাধ্যমেও কেউ আক্রান্ত হতে পারে, একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশাকে প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা হয়।
ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ আরও জানান, এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ বহুগামিতায় অভ্যস্ত।
মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ব্রংকোপনিউমোনিয়া শ্বাসকষ্ট, কেরাটাইটিস, কর্নিয়ার আলসারেশন, অন্ধত্ব, সেফটিসেমিয়া ও এনসেফালাটিসের মতো জটিলতা দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া জ্বরজনিত অসুখের সাথে ঠাণ্ডা লাগা, ঘাম, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা ক্ষুধামন্দা, ফ্যারিঞ্জাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও কাশি দেখা যায়।
ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেতে আক্রান্ত বা সন্দেহজনক প্রাণীর সংস্পর্শে না যাওয়া, প্রাণীর কামর, আঁচড়, লালা বা প্রস্রাব থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সকল ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করার মতো সতর্কতা অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
তিনি আরও বলেন, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়া। গুজব বা আতঙ্ক এড়িয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার