‘২০০ কোটির সোনার দ্বন্দ্বে খুন’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

‘২০০ কোটির সোনার দ্বন্দ্বে খুন’- আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকার সোনা নিয়ে দ্বন্দ্বেই ভারতের কলকাতায় খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলোয়ারুল আজিম আনার।

এই হত্যাকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ তার বন্ধু ঠিকাদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, আক্তারুজ্জামান শাহীন সীমান্তপথে ভারতে সোনা পাচার করতেন। চোরাই সোনা সীমান্ত পার করতে সহায়তা করতেন সংসদ সদস্য আলোয়ারুলের ঘনিষ্ঠ লোকজন। এছাড়া এমপি আনোয়ারুলের হত্যার পরিকল্পনা, কারণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ই শুক্রবার প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম হয়েছে।

‘খুলনার চরমপন্থী শিমুল ভূঁইয়া আমানুল্লাহ’– সমকালের প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সৈয়দ আমানুল্লাহই খুলনার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া। তার পরিবারের একাধিক সদস্য ও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এমপি আজিম হত্যার ঘটনায় ঢাকায় ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে শিমুল ভূঁইয়া নিজেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে পরিচয় দেন। তিন দশক ধরে খবুলনার অপরাধ জগতের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) খুলনা বিভাগীয় সম্পাদক শিমুল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ফুলতলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠুসহ পাঁচজনকে হত্যায় এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।

‘কে এই রহস্যময়ী তরুণী সেলেস্তি’– যুগান্তরের প্রথম পাতার খবরটিতে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেলেস্তি রহমান নামের এক তরুণীর নাম উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, সেলেস্তি এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের গার্লফ্রেন্ড। তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

ডিবি পুলিশের সূত্র বলছে, ঢাকা থেকে ৩০ এপ্রিল শাহীন ও আমানুল্লাহর সঙ্গে প্লেনে কলকাতায় যান সেলেস্তি রহমান। কলকাতার নিউটাউনের বহুতল আবাসন সঞ্জীভা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজিম আনার, সেখানেই ছিলেন সেলেস্তি। পরে ১৫ মে হত্যার মূল দায়িত্ব পালনকারী চরমপন্থি নেতা শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটক হন। ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আখতারুজ্জামান শাহীনের ‘গার্লফ্রেন্ড’ সেলিস্তি রহমান সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

‘বেনজীরের সব সম্পত্তি জব্দ’– কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হয়েছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীর বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ‘দুদকের আবেদনে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দ (ক্রোক) এবং ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছেন আদালত।’ এর আগে বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে পর পর দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়নি বলে খবরটিতে উল্লেখ করে হয়েছে।

পরে হাইকোর্টে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যানের করা রিটে বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনার (তদন্ত), কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়। এছাড়া কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন যুক্ত করে ২১ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি, ব্যাংক হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকার আদালতে আবেদন করেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। আদালতে আবেদনে শুনানির পর আদেশ হয় যে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিধিমালা-২০০৭-এর ১৮ বিধি অনুযায়ী স্থাবর সম্পদ জব্দ (ক্রোক) এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হলো।

‘বে অব বেঙ্গলে ঘাঁটি বানাতে দিচ্ছি না বলেই আমি খারাপ’– ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর এটি। এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চক্রান্ত এখনো আছে। পূর্ব তিমুরের (ইন্দোনেশিয়া ভেঙে গড়ে ওঠা) মতো বাংলাদেশের একটা অংশ নিয়ে, তারপর চিটাগাং (পার্বত্য চট্টগ্রাম), মিয়ানমার মিলে একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানাবে। বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে’।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একটি বিদেশি বিমান ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ঝামেলা ছাড়াই পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসব, না হলে আসব না’- প্রস্তাবের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘খেলাপির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না ব্যাংকগুলো’– সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।এতে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ ও পুঞ্জীভূত নানা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করছে তা যথাযথ না। বাস্তব চিত্র গোপন করা হচ্ছে পর্যবেক্ষণ দিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) প্রশ্ন তুলে বলেছে, আসলে দেশের ব্যাংক খাতের অবস্থা কতটা খারাপ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সামনে কী অপেক্ষা করছে’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বলছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার। বাস্তবে তা সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোও তথ্য প্রকাশ করছে না জনসম্মুখে। দুর্ঘটনা ঘটার পর সবাই জানতে পারছে। আসলে ব্যাংক খাত কতটা খারাপ সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে”।

‘প্রমাণ হলে শান্তি মিশন থেকে বাদ’– নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রামাণ্যচিত্র প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট দেশের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বাদ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ডয়চে ভেলের (জার্মানির আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল) সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড-সহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব কি এ বিষয়ে অবগত?

জবাবে ডুজারি বলেন, হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রটি আমরা দেখেছি। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ ব্যাপারে মতবিনিময় করছেন এবং তথ্যচিত্রের প্রযোজকদের বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন দক্ষতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় সেজন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরো রয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার যাচাই পদ্ধতির অধীনে শান্তিরক্ষী নিয়োগে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল মেনে চলা।

‘ঘরে বসেই সাজা খাটার নতুন আইন হচ্ছে’– কালবেলার প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে গত ১৩ মে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। প্রথমবার সাজা ও শিক্ষার্থী বিবেচনায় আদালত তাকে সংশোধনের সুযোগ দিতে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশন ব্যবস্থায় পরিবারের কাছে পাঠান।

এক বছরের প্রবেশন শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি তিথির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে তার কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর তা না হলে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড তাকে ভোগ করতে হবে।
শুধু তিথি সরকারই নয়, প্রতি মাসে শত শত আসামিকে আদালত কারাগারে না পাঠিয়ে এভাবে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশনে পরিবারের কাছে পাঠাচ্ছেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাস পর্যন্ত সারা দেশে প্রবেশনে রয়েছেন ১১ হাজার ১৩৮ আসামি ও শিশু অপরাধী। এসব আসামিকে দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০-এর অধীনে প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৬৪ বছরের পুরোনো এই আইনে রয়েছে নানা ত্রুটি।

এ কারণে আইনটি রহিত করে সরকার নতুন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ‘প্রবেশন (অপরাধী ব্যক্তি এবং দোষী সাব্যস্ত শিশুর সংশোধন ও পুনর্বাসন) আইন-২০২৩’ নামে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
খসড়াটি গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বর্তমানে আইনটির খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। খসড়া আইনটি চূড়ান্ত হলে তা মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে।

‘চার পিলারে ফাটল, নানা প্রশ্ন’– সমকালের প্রথম পাতার খবর। খবরে বলা হয়েছে, উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হবার আগেই চট্টগ্রামে লালখানবাজারে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের চারটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।

এ নিয়ে প্রকল্প কর্মকর্তার সঙ্গে কথার বলার পরপরই ফাটলের অংশগুলো সিল করা হয়েছে। ফাটলগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে জিওব্যাগের কাপড়ে। মেরামতের জন্য বানানো হয়েছে লোহার মাচাও। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের দাবি, এগুলো কোনো গভীর ফাটল নয়, হেয়ারলাইন ক্র্যাক। এমন ফাটল যে কোনো নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে হওয়া স্বাভাবিক। এতে অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাটলগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। নকশার ত্রুটি ও স্প্যান বা পিলার দেবে যাওয়ার কারণে এই ফাটল হতে পারে। এটি কতটা ঝুঁকি তৈরি করবে কিংবা এর গভীরতা কতটুকু, তা বের করতে উচ্চতর কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। তবে কাজ শেষ না হওয়ার আগে স্প্যান ও পিলারে এমন ফাটল দেখা দেওয়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

‘হঠাৎ কেন কুকুর ভয়ংকর’– দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে উচ্চ আদালত নির্বিচার কুকুর নিধনকে অমানবিক উল্লেখ করে তা বন্ধের নির্দেশ দেয়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কুকুরকে বন্ধ্যাকরে (প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া) তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দেয় সরকার। দুই বছর পর তাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজধানী থেকে হাজার হাজার কুকুর সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে এক রিট আবেদনে তা থেমে যায়।

একদিকে কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলো যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজধানীতে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ ২০২৩ সালে সারা দেশে ৬ লাখের বেশি মানুষ কুকুরের কামড় খেয়ে জলাতঙ্ক রোগের টিকা নিয়েছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখের সামান্য কম। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। এই দুই বছরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৬ জন। শুধু তাই নয়, ২০১২-২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশে কুকুরের কামড়ে মারা গেছে ৭৭১ জন। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *