বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার পালালেও তার দোসররা রয়ে গেছে, এ জন্য দেশের সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দেশের মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে।
ভিডিও লিংক : https://www.youtube.com/watch?v=gJUJDMsFMdg
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, মত-দ্বিমত থাকতেই পারে, আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান করা সম্ভব। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে; একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন- এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের জন্য বিএনপি কী করবে, ৩১ দফায় তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কখনও আমরা দেখেছি ডামি নির্বাচন, কখনও দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেকারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ-কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা-প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, দেশ তত দ্রুত আমরা উন্নত করতে পারব। বিএনপিই একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। এ ছাড়া কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা এতে বক্তব্য দেন।
সম্মেলন হলেও জেলা বিএনপির নতুন কোনো কমিটি করা হয়নি। তারেক রহমান সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অর্থাৎ কমিটি গঠন বিষয়ে দায়িত্ব নেন। অচিরেই দ্বিতীয় অধিবেশনের জন্য তারিখ করা হবে বলে তারেক রহমান উল্লেখ করেন।