আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে চলেছে পবিত্র রমজান মাস। তাই রমজানের আগে ঘরের কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। তাহলে রমজানে বেশি কষ্ট করতে হবে না। যেহেতু এখন প্রচণ্ড গরম, আর এ সময় দিনও বড়। তাই রমজানের আগে কয়েকটি কাজ করে রাখতে পারলে পরে আর সমস্যা পোহাতে হবে না।
পবিত্র রমজানে শুধু অভ্যন্তরীণ জীবন নয়, বরং আপনার বাহ্যিক জীবনকেও পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাই ঘর পরিষ্কার, রমজানের বাজারসহ ইত্যাদি কাজগুলো আগে থেকেই করে রাখা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রমজানের আগেই যেসব কাজ সম্পন্ন করবেন-
– রমজানের আগে ঘর পরিষ্কার করা উচিত সবারই। বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসের গুরুত্ব সবার কাছেই বেশি। ঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সব আসবাবপত্র পরিষ্কার করুন, দেওয়ালের ঝুল ঝাড়ুন, আলমারির কাপড় অগোছালো থাকলে তা গুছিয়ে রাখুন।– জানালা-দরজার পর্দাসহ পোশাক ইত্যাদি কাপড় ধুয়ে ফেলুন রমজানের আগেই। এতে ঈদের আগে আর অতিরিক্ত কষ্ট করতে হবে না। একই সঙ্গে সোফার কুশনের কভার থেকে শুরু টেবিল ক্লথ সবকিছুই পরিষ্কার করে নিন এখনই।
– রান্নাঘরও রমজানের আগেই গুছিয়ে নিন। যেসব উপকরণ রমজানে বেশি ব্যবহৃত হবে সেগুলো হাতের কাছে রাখুন। এমনকি তুলে রাখা বাসনপত্র যদি প্রয়োজন হয় সেগুলো আগে থেকে বের করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন।
– ঈদে ঘর কীভাবে সাজাতে চান, তা এখনই পরিকল্পনা করে রাখুন। তাহলে ঈদের আগে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। প্রয়োজনে ঘর সাজানো বিভিন্ন জিনিসপত্র এখনই কিনে রাখুন সময় করে।
– রমজানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। এতে রোজা রাখতেও কষ্ট হয় না আবার শরীরও থাকে সুস্থ। এজন্য এখন পরিকল্পনা করে সেহরি ও ইফতারে কোন কোন খাবারগুলো নিয়মিত রাখবেন, সেগুলো আগে থেকেই কিনে সংরক্ষণ করুন। অর্থাৎ রমজানের বাজার এখনই করে ফেলুন, চাল-ডাল থেকে শুরু করে তেল, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংস সবই আগে থেকেই কিনে রাখুন। তাহলে রমজানে রোজা রেখে কষ্ট করে বাজারে ঘুরতে হবে না।
– রমজানে সেহরি ও ইফতারে কী কী খাবার রাখবেন ও কোন দিন কী কী খাবেন তার একটি রুটিন করে রাখুন। আর খাদ্যতালিকাটি ডাইনিং টেবিলের পাশে লাগিয়ে দিন। এতে কোন দিন কী খাবেন তা আর আগে থেকে ভাবতে হবে না।
– নামাজের জন্য একটি নিরিবিলি স্থান নির্ধারণ করুন। একটি আলাদা রুম হলে বেশি ভালো হয়। বিশেষ করে রমজানের শেষের ১০ দিনে আল্লাহর নিদর্শনগুলো প্রতিফলনের জন্য একটি ইতিকাফ রুম তৈরি করুন নিজ ঘরেই।
– আপনার যদি কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে তাহলে রমজানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে হেলথ চেকআপ করুন।