ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তদন্তের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ব্রিটেনে সদ্য ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টি সরকারে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার। সম্পত্তির আয় অপ্রদর্শিত রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে। এ খবর প্রকািশত হয়েছে ডেইলি মেইল, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান-সহ ব্রিটেনের মূলধারার প্রায় সকল পত্রিকার প্রথম পাতায়।

The Times

তবে, কোন কোন পত্রিকায় বাংলাদেশের গুম ও খুনের ঘটনায় নীরব থাকার অভিযোগও এনেছে। টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা বাংলাদেশে অপহরণ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের ব্যাপারে নিরবতা পালনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Daily Mail

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা। সেখানে বলপূর্বক গুমের শিকারদের পরিবার বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকার জন্য এই লেবার এমপিকে অভিযুক্ত করেছেন, যেখানে তার খালা প্রধানমন্ত্রী।

The Times

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পার্লামেন্টে টিউলিপই প্রথম সদস্য যাকে স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের তদন্তের মুখে পড়তে হচ্ছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে এই তদন্তের কথা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

Telegraph

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একজন এমপি হিসেবে আর্থিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন টিউলিপ। বিষয়টি নিয়ে গত মাসের শুরুতে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। টিউলিপ সিদ্দিক নতুন সংসদের প্রথম ব্যক্তি যিনি সংসদের স্ট্যান্ডার্ড ওয়াচডগ দ্বারা তদন্ত করা হচ্ছে, নির্বাচনের পর এই ধরনের প্রথম তদন্ত। লেবার পার্টির মুখপাত্র বলেছেন যে, “এটি প্রশাসনিক তদারকি” যার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।

The Standard

গত মাসে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে নির্বাচিত হন। মাত্র ক’দিন হল, নতুন সরকারে অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের একটির নেতৃত্ব পেয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি লেবার পার্টির হয়ে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *