নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান : ঋণের কিস্তি অর্ধেক দিলেই খেলাপি মুক্তি

অর্থনীতি বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআইয়ের গ্রাহকদের খেলাপি থেকে মুক্তির বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে গ্রাহক ঋণ নিয়মিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে এ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়া এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে কোভিডের কারণে ২০২১ সালে ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পুনরায় বেড়েছে এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও লিজ শ্রেণীকরণ এবং আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয় খাতে স্থানান্তর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ হিসাবের আদায়যোগ্য অর্থের নূ্যনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হলে ঐ ঋণ অশ্রেণীকৃত বা খেলাপি মুক্ত দেখানো যাবে। তবে গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনান্তে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া যাবে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত বন্যাকবলিত অঞ্চলসমূহে সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণের ক্ষেত্রে ২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হয়ে থাকলে ঐ ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে গ্রাহকরা প্রকৃতই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কি না তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিশ্চিত হবে।

এ নির্দেশনার আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ হিসাব চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি ও চার্জ কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে কোনো ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ গ্রহীতা এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ হিসাবের যথানিয়মে শ্রেণীকরণ করে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে। ঋণ হিসাবের আরোপিত সুদ বা মুনাফার প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *