গেল চার মাসে সারা দেশে দূষণবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে ২৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ৬৪৮টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযানে যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সীসা কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পোড়ানো এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রীর বিরুদ্ধে ৭৭৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
‘এই অভিযানে ১৬৬৩টি মামলার মাধ্যমে মোট ২৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একইসাথে ৪৩৮টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সময়ে ২১০টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১২৪টি ভাটায় কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৭টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ট্রাক সীসা গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগরের গুলশান, মাতুয়াইল, আমিনবাজার, মোহাম্মদপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বায়ুদূষণ করার দায়ে ৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ৫টি মামলায় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই দিনে আমিনবাজারে অবৈধ সীসা ব্যাটারি গলানোর একটি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কারখানাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া গাজীপুরে জলাধার ভরাটের অভিযোগে একজনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ৫ দিনের মধ্যে পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জ ও দিনাজপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ৮টি মামলায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে একটি ইটভাটার চিমনী ও কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ৬টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইউএনবি