ইসরায়েলের দাবি ও প্রত্যাশা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। নিহত হননি ইসমাইল কানি, হাজির হলেন তেহরানের বিজয় উৎসবে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি মঙ্গলবার তেহরানে ‘বিজয় উৎসব’-এ জনতার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায়, কানি রাজধানী তেহরানে উপস্থিত হয়েছেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘ডিভাইন ভিক্টরি’ নামে পরিচিত সামরিক অভিযানের সাফল্য উদযাপন করতে। অপারেশন ডিভাইন ভিক্টরির পর তেহরানের জনগণের সমাবেশে অংশ নেন কমান্ডার কানি।
সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত প্রেস টিভি ভিডিওটি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘আইআরজিসি কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি আজ তেহরানে বিজয় উদযাপনের সময় উচ্ছ্বসিত জনতার কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন।’
চলতি মাসের শুরুতে নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইসরাইলি হামলায় ইরানের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে কানিও নিহত হয়েছেন।
গত ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানের একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালায়, যার মধ্যে ছিল সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনাও। ইসরাইলের দাবি ছিল, ইরান নাকি পরমাণু বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তবে এই দাবি বরাবরের মতোই জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে তেহরান।
জবাবে ইরানও চালায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হয় সংঘাতে, এবং রোববার তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।
১২ দিন ধরে চলা এই আকাশযুদ্ধের পর সোমবার গভীর রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
তেহরানে কানি উপস্থিত থেকে বিজয় উদযাপনে অংশ নেওয়ায় এখন স্পষ্ট যে তিনি জীবিত এবং সুস্থ আছেন, এবং ইসরায়েলের হামলায় তাঁর মৃত্যুর যে গুঞ্জন ছিল, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।