ইস্তানবুলে এক টুকরো বাংলাদেশের ছোঁয়া

প্রবাসী বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ইস্তানবুল ছাড়াও কোনিয়া, বুরসা, তেকিরদাগ, খোজায়েলিসহ বিভিন্ন শহর থেকে অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরো রঙিন ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

তুরস্কের ইস্তানবুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন বাসাত’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক হৃদয়ছোঁয়া ঈদ পুনর্মিলনী। প্রবাসে ব্যস্ততা, দূরত্ব ও একাকিত্বের মাঝে এমন আয়োজন হয়ে উঠেছিল ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব ও উৎসবের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি। যেন এক টুকরো বাংলাদেশের ছোঁয়া।

ইস্তানবুলের এশিয়া লাউঞ্জে আয়োজিত এ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশী। শুধু ইস্তানবুল নয়, কোনিয়া, বুরসা, তেকিরদাগ, খোজায়েলিসহ বিভিন্ন শহর থেকেও আগত অতিথিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁদের সরব উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে রঙিন ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় দেশীয় নানা মুখরোচক খাবার ও মিষ্টান্ন, যা অতিথিদের মনে করিয়ে দেয় মায়ের হাতের রান্না এবং ঈদের দিনের বিশেষ স্বাদ। প্রাণখোলা আড্ডা, আন্তরিক কুশল বিনিময় এবং নতুন-পুরনো প্রবাসীদের মধ্যে বন্ধনের এক উষ্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকের কাছেই দিনটি হয়ে ওঠে প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশকে হৃদয়ের কাছ থেকে অনুভব করার এক অনন্য সুযোগ।

এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি জোরদার করা এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রবাসেও জীবন্ত রাখা। অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাসাত’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মিলনমেলাটি প্রবাস জীবনে নতুন প্রেরণা ও আশার আলো জ্বেলে দিয়েছে। সকল অংশগ্রহণকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও আমরা আরো বড় এবং সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে এই বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে কাজ করে যাবো।

এর আগে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও প্রবাসী কমিউনিটি একত্রে ঐতিহাসিক সুলতান ফাতিহ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় চারদিক মুখরিত ছিল তাকবিরের গুঞ্জনে। নামাজ শেষে বাংলাদেশী সবাই একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাযন, কোলাকুলি করে সেই বিশেষ মুহূর্তের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

নামাজের পর সবাই মিলে প্রাণবন্ত বায়রামলাশমা—সুস্বাদু পায়েস, সেমাই, নাস্তা ও গরম চায়ের সাথে মেতে উঠেন প্রাণখোলা আড্ডা, স্মৃতিচারণ আর হাসি-আনন্দে।

যাঁরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁদের প্রতিও বাসাত’র আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভবিষ্যতের আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্রবাসে থেকেও বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে বাসাত’র এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেন অংশগ্রহণকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *