ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ‘ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে। দেশটির আধা-সরকারি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভিও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর প্রকাশ করেছে। দুইটি সংবাদমাধ্যমই ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর বরাত দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রথম ২০২৩ সালে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচিত হয়েছিল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি এর নামকরণ করেছিলেন। আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান “ কখনোই জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) সাথে আপস করবে না”। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের একাধিক পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি।
“ আমরা জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) কোনো দয়া দেখাব না ” একটি পোস্টে এ কথা লেখা হয়েছে। অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, “যুদ্ধ শুরু।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, আমেরিকা জানে খামেনি কোথায় আছেন। কিন্তু “তাকে বের করে আনবে না, অন্তত আপাতত” এমন মন্তব্যের পরই খামেনি ওই কথা বলেছেন। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে আয়াতোল্লাহ খামেনির বক্তব্য এলো। তার বিভিন্ন ভাষার অ্যাকাউন্টের পোস্টগুলোর মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য এটি।
প্রেস টিভি রিপোর্টে জানিয়েছে, “আইআরজিসি অভিযানের সর্বশেষ পর্যায়কে ‘একটি টার্নিং পয়েন্ট’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছে প্রথম প্রজন্মের ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ইসরায়েলের ‘কাল্পনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সমাপ্তির সূচনা।”
২০২৪ সালের পহেলা অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ইরান কয়েক ডজন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। তবে, বর্তমান যুদ্ধে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।