পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফে বসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার দলটির প্রচার বিভাগের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ (আরবী শাওয়াল মাসের চাঁদ) দেখা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফ। রোযা ২৯টি হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর রোযা ৩০টি হলে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ইতিকাফে থাকবেন তিনি।
ইতেকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অবস্থান করা, নিজেকে কোনো স্থানে আবদ্ধ করে রাখা। আর শরিয়তের পরিভাষায় কতগুলো বিশেষ শর্তসাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। ফরজ ইবাদত ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যেসব ইবাদত করা হয় তার মধ্যে ইতেকাফ একটি অন্যতম ইবাদত।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অধিকতর আত্মশুদ্ধির জন্য ইতেকাফ করা হয়। এসময়টিতে ইতেকাফে থাকা ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য সকল কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ইবাদাত ও জিকির আযকারে মশগুল থাকেন।
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ ও দুটি হজ আদায় করার সওয়াব পাবে।’ আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ পালন করতেন। তাঁর ওফাতের আগ পর্যন্ত তিনি ইতেকাফ পালন করে গেছেন। তারপর তাঁর পত্নীরাও তা পালন করেছেন।’
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ইতেকাফকারী নিজেকে পাপ থেকে মুক্ত রাখে এবং তাঁর জন্য পুণ্যসমূহ জারি রাখা হয়। (মিশকাত) প্রিয়নবী (সা.) ঘোষণা দেন ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একদিন ইতেকাফ করবে আল্লাহ তায়ালা তার ও জাহান্নামের মাঝে তিন পরিখা পরিমাণ দূরত্ব সৃষ্টি করবেন; যার দূরত্ব আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্বের থেকে বেশি।’ (কানযুল উম্মাল: ২৪০১৯)