ছাত্রদলের পর এবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সতর্ক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। নেতারা বলেছেন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও দলটির মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ। সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমাদের দিকে আঙুল তুলছে জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, বিএনপির দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন। এসময় এনসিপিরও সমালোচনা করেন তিনি।
সোহেল আরো বলেন, পুরান ঢাকার ঘটনায় যে ভিডিও করেছে, সে কেন এটি নিবৃত্ত করতে গেল না। তাকে কেন আঘাত করা হলো না। এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি বিএনপির বিরুদ্ধে সাজানো–গোছানো চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। দেশের স্বার্থে, ঐক্যের স্বার্থে অনেক কিছু সহ্য করছি। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবেন না। যদি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করব আপনাদের।
ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশে সোহেল বলেন, হুজুরের নামে কিছু বললে তাঁর মুরিদেরা আবার মনে কষ্ট পায়। হুজুরকে শুধু এটুকু বলব, কলা খাইবা, গাছ লাগাইয়া খাও। পরের গাছের পানে কেন টিপটিপাইয়া চাও।
সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক, মগবাজার, বাংলামোটর হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।