বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী লেখক, আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার আসাদ চৌধুরীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে কানাডার টরন্টোয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় অন্টারিওর ‘ডাফিন মিডোস কবরস্থানে’ কবিকে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে দাফন করা হয়। এসময় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কবিকে একনজর দেখতে ভীড় জমান।
এর আগে জুম্মার নামাজের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরন্টো জামে মসজিদে কবি আসাদ চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে কবির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কবির কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত লিখিত শ্রদ্ধাঞ্জলী পাঠ করেন।
ষাটের দশকের এই কবি বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র কাব্য ভাষা তৈরী করে নিজস্বতা অর্জন করেন। শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। কালের সীমা অতিক্রম করে হয়েছেন কালোত্তীর্ণ। আসাদ চৌধুরী একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার। সাহিত্যে তিনি গনমুখি, নান্দনিক ও রোমান্টিক। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বাংলার লোকায়ত জীবন সবই তাঁর লেখায় স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
উল্লেখ্য, টরন্টোর স্থানীয় সময় বুধবার(৫ অক্টোবর) বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন কবি আসাদ চৌধুরী। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমীন।