অমিতাভ ভট্টশালী
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’কে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের নামকরা ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
সতর্কবাণী: এ প্রতিবেদনে এমন কিছু বর্ণনা রয়েছে যা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
বুধবার মাঝ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেইন হোস্টেল’-এর তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মাত্র তিন দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। ছাত্রটির আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে তাকে হোস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল।
কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে কোন নতুন শিক্ষার্থী এলে তার সঙ্গে পুরোনোদের পরিচিত হবার নামে একটি গোপন অনুষ্ঠান করে তাকে নানা উপায়ে দলবদ্ধভাবে হয়রানি করা হয় – এবং একেই বলা হয় র্যাগিং। এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ শুক্রবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়া ছাত্রটির মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট করছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র নেতা-নেত্রীরা বলছেন, হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রায় কোনও ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে অভিযোগ আনেন না ভয়ে, তাই তারাও জানতে পারেন না যে হোস্টেলগুলিতে ঠিক কীভাবে র্যাগিং চলছে।
ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নিয়ে কড়া আইন আছে । র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাত্র বা ছাত্রীকে বহিষ্কার তো করা হয়ই, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যাতে তিনি ভর্তি না হতে পারেন, সেই শাস্তিরও বিধান রয়েছে। – বিবিসি নিউজ বাংলা, কলকাতা