সর্বশক্তিমানকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ : মুফতি মেনক

ধর্ম ও দর্শন সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

অনুবাদ:মাসুম খলিলী

এক. সর্বশক্তিমান। আমাদের ইবাদতের একটি বিশেষ মাস দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যখন আমরা কিছু হারিয়েছি তখন সেখানে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যখন আমরা অন্ধকারের ভয় অনুভব করি তখন আপনার আলো জ্বালানোর জন্য এবং যখন আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা এটি করতে পারব না তখন আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমীন।

দুই: আপনার হৃদয়ে মনোযোগ দিন। হৃদয় অসুস্থ ও কলুষিত হলে সর্বোত্তম আমলও ব্যর্থ হতে পারে। হৃদয় প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদয়কে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা ইত্যাদি বড় বড় ব্যাধি থেকে মুক্ত করার জন্য সর্বশক্তিমানের সাহায্য প্রার্থনা করুন। আপনার অভিপ্রায়কে পরিশুদ্ধ করতে থাকুন।

পূনশ্চঃ

এক: কিছু লোক অপেক্ষা করে করে তাদের পুরো জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে। পাপ থেকে অনুতপ্ত হওয়া, সর্বশক্তিমানের ইবাদত করা, জীবনের নতুন পর্ব শুরু করা, সৎকর্ম করা ইত্যাদিতে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকতে বলা শয়তানের ফাঁদ। আগামীকাল নিশ্চিতভাবে আসবে তার প্রতিশ্রুতি কাউকে দেওয়া হয়নি। আপনার জীবন নিয়ে গড়িমসি করবেন না। আপনার সেরাটি আজই করুন!

দুই. আপনার উপর শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে স্ট্রেস। মানসিকভাবে, এটি আপনাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। এতে আপনি আশা, বিশ্বাস, আস্থা এবং শান্তি হারান। সর্বশক্তিমানকে ঘন ঘন স্মরণ করলেই কেবল অন্তরের শান্তি পাওয়া যায়; তাঁর সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করুন; শুধু আপনার অসুবিধার সময়ে নয়,সবসময়।

তিন: আপনার আলোতে কেউ ভয় পেয়েছে মানে এই নয় যে আপনার উজ্জ্বলতা কমাতে হবে অথবা ম্লান হতে হবে আপনাকে! আসলে, এর অর্থ আপনার আরও উজ্জ্বল হওয়া উচিত; বিশেষত ক্রমবর্ধমান অন্ধকার এই বিশ্বে। তাদের জন্য যাদের আরো আলো ও দয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি কখনই জানতে পারবেন না যে আপনি কার জীবন স্পর্শ করবেন!

দ্রষ্টব্য:

বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে। আর তোমাদের নিজেদের মধ্যেও, তোমরা কি অনুধাবন করবে না? আকাশে রয়েছে তোমাদের রুযী ও প্রতিশ্রুত সবকিছু। আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালকের শপথ! অবশ্যই তোমাদের কথা বলার মতই এটি সত্য। (সূরা যারিয়াতঃ ২০-২৩)

আর তারা বলে, (আমাদের কর্তব্য) আনুগত্য। অতঃপর যখন তারা তোমার নিকট থেকে চলে যায়, তখন রাতে তাদের একদল তারা যা বলে (বা তুমি যা বল) তার বিপরীত পরামর্শ করে। তারা রাতে যা পরামর্শ করে আল্লাহ তা লিপিবদ্ধ করে রাখেন। সুতরাং তুমি তাদের উপেক্ষা কর এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা কর। আর কর্ম-বিধানে আল্লাহই যথেষ্ট। তারা কি কুরআন সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করে না? এ (কুরআন) যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো তরফ থেকে (অবতীর্ণ) হত, তাহলে নিশ্চয় তারা তাতে অনেক পরস্পর-বিরোধী কথা পেত। (সূরা নিসাঃ ৮১-৮২)

নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর নিকট (একমাত্র মনোনীত) ধর্ম। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরও তাদের মধ্যে মতানৈক্য ঘটিয়েছিল! আর যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করে (সে জেনে রাখুক যে), নিশ্চয় আল্লাহ সত্বর হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৯)

* মুফতি মনক (ডক্টর ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক) ইসলামি স্কলার ও জিম্বাবুয়ের প্রধান মুফতি

* মাসুম খলিলী সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *