মানবসেবায় নিরলস ৪৩ বছর : পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)

ফিচার বাংলাদেশ সময় সংবাদ সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন

ফয়সাল আমিন কাজি (ফাহিম ফয়সাল): বাংলাদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের একমাত্র চিকিৎসা ও পূনর্বাসন কেন্দ্র হল ‘সিআরপি’। পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতধারায় একীভূত করার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে ১১ ডিসেম্বর বৃটিশ স্বেচ্ছাসেবী ও ফিজিওথেরাপিস্ট মিস্ ভেলরী এ টেইলর সিআরপি’র যাত্রা শুরু করেন।

তখন তার সঙ্গে সহযোগী ছিলেন একজন দেশীয় ফিজিওথেরাপিস্ট, একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট ও একজন সমাজকর্মী। ৪৩ বছর আগে `Service to sufferers is Service to God’ শ্লোগান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র ৪ জন রোগী নিয়ে শুরু হওয়া সিআরপি এখন বিস্তৃৃত সারা দেশে। দেশে-বিদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার একটি আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের প্রতিবন্ধীজনের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে। চিকিৎসাধীন সময় এবং পরবর্তীতে রোগীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার নিরিখে যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা প্রদানই সিআরপি’র লক্ষ। সিআরপি এমনই একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবা দিতে ও ইন্টার্নি করতে ফিজিওথেরাপিস্টরা আসেন।

বাংলাদেশে সিআরপি’র প্রয়োজনীয়তা:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (WHO) পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ প্রতিবন্ধী। এ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ মেরুরজ্জুতে আঘাত পেয়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীতার শিকার হচ্ছে, যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। সিআরপি’তে অন্যান্য অর্থপেডিক এবং নিউরোলজিক্যাল সমস্যার ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বিশেষ করে অধিক সংখ্যক স্ট্রোক রোগী এবং সেরিব্রাল পলসি শিশু। তাদেরকে সিআরপি’র অন্তঃবিভাগ অথবা বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

সিআরপি’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
সিআরপি’র মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোতধারায় একিভূতকরণ নিশ্চিত করে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা , যেখানে সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি স্বাস্থ্য, পুনর্বাসন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাহ্যিক পরিবেশ, বিনোদন এবং তথ্য প্রাপ্তির সমান সুযোগ পাবে।

সিআরপি প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিকথা ও একজন মহীয়সি নারী ভেলেরী টেইলর:

সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী হচ্ছেন ভেলেরি টেইলর। ভেলেরি টেইলরের পুরো নাম ভেলেরি অ্যান টেইলর । তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রুমলে কেণ্টে ১৯৪৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন । তার মাতা পিতা মেরী ও উইলিয়াম টেইলর।

১৯৬৯ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের চন্দ্রঘোনায় ভিএসও নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হিসাবে স্বল্পকালীন চুক্তিতে এদেশে আসেন যুক্তরাজ্যের M.C.P.S (Member of Chartered Society of Physiotherapy) সনদধারী মিস ভেলরী টেইলর। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্কটময় সময় তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু সেখানে তাঁর মন বসেনি। পরে তিনি ১৯৭১ সালেই যুদ্ধ শেষ হবার ২ মাস আগেই তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। মানবতার কল্যানের জন্য মাতৃভূমি ও মাতৃত্বের বন্ধনও তাঁকে মায়ার বাধনে বাঁধতে পারেনি। তাই ১৯৭২ সালে এদেশের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করার জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে ড. আর জে গাষ্টের সাথে কাজ শুরু করেন। কিন্তু অচিরেই তিনি অনুভব করেন বিভিন্নভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের মধ্যে তাদের পরিবারিক ও সমাজিক জীবনে চরম হতাশাজনক অবস্থা বিরাজ করছে। কেননা, তাদের জন্য নামমাত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও পুনর্বাসনের কোনো বন্দোবস্ত ছিলো না। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দুটি পরিত্যক্ত সিমেন্ট গোডাউন সংষ্কার করে আলাদা চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই রোগী সংখ্যা ৩৫ এ দাঁড়ালে অনিবার্য কারণে দুটি গোডাউন কক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাতারাতি তাঁকে রোগীদের নিয়ে ধানমন্ডির শংকরে একটি ভাড়া বাড়িতে উঠতে হয়। সেখান থেকে ফার্মগেটে তৎকালীন এমআরখান ভবন (বর্তমানে পারটেক্স ভবন)। এভাবেই রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকলে প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি স্থায়ী অবস্থানের। যাযবরের ন্যায় প্রথম ১১ বছর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে অবশেষে ১৯৯০ সালে ঢাকার অদূরে সাভারে ১৩ একর জমির উপর মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয় সিআরপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়।

সিআরপি’র জন্ম যদিও ১৯৭৯ সালে রেজিস্ট্রেশন অর্জন ১৯৮১ সালে কিন্তু বাংলাদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের নিয়ে ভেলরীর কার্যক্রম প্রায় ৫০ বছর। তিনি সুন্দর বাংলায় কথা বলতে পারেন।

ভেলেরি টেইলরকে যখন প্রশ্ন করা হয়, পৃথিবীতে এত দেশ থাকতে কেন তিনি বাংলাদেশকে এই কাজের জন্য বিশেষভাবে বেছে নিলেন? তখন ভেলেরি বলেন, এই উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্রতা, অসহায়ত্ব ও চিকিৎসার অভাবের কারনেই মূলত তিনি এদেশকে বেছে নিয়েছেন। ভেলেরি মাতবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। এ কারনে তিনি বিবিধ স্বীকৃতি লাভ করেছেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য তাঁর মূল্যবান অবদানের জন্য ব্রিটেনের রাণী তাঁর বিশেষ খেতাব Order of the British Empire (OBE) প্রদান করেছেন। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মানব কল্যাণের জন্য ১৯৬৬ সালে তিনি হল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড অর্থোপেডিক কনসার্ন প্রদত্ত ‘‘আর্থার আয়ার ব্রুক” স্বর্ণ পদকে ভূষিত হন।

বাংলাদেশের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বাংলাদেশের সম্মানজনক নাগরিকত্ব প্রদান করে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পদক (২০০৪), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় সমাজসেবা পদক (২০০০), অন্যন্যা শীর্ষ ১০ পুরষ্কার, ডাঃ এম আর খান ও আনোয়ার ট্রাস্ট স্বর্ণ পদক (২০০০), মিলেনিয়াম এওয়ার্ড, খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ স্বর্ণ পদক (২০০৮), মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক (২০০৯), যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রীসহ বহু পুরষ্কার ও সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন।

ভেলেরি বাংলাদেশের দু’জন প্রতিবন্ধী মেয়ের আইনি অভিভাবক। তার দত্তক ছোট কন্যা পপিকে নিয়ে তিনি সিআরপি’তেই বসবাস করেন। অপর দত্তক কন্যা জ্যোতি একই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। দুঃস্থ মানবতার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ভেলেরি অ্যান টেইলর স্বদেশ, ভূমি, স্বজন ও স্বস্বার্থ ত্যাগ করে যে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন তা অতীব দূর্লভ ।

সিআরপি-হাসপাতাল:
সিঅরপি’র প্রধান কার্যালয় সাভার-এ আউটডোর চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধাসহ মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের জন্য রয়েছে একশ’ শয্যার এবং ঢাকার মিরপুরে রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল। এখানে ডাক্তার, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট, সমাজকর্মী, কাউন্সিলর প্রমুখদের সমন্বয়ে গঠিত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী টিম এ্যাপ্রোচের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

সিআরপি-শিশু বিভাগ:
সেরিব্রাল পলসি, কগনিশন ও অটিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধীতার শিকার শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্যে এখানে রয়েছে শিশু বিভাগ। এখানে ভর্তিকৃত শিশুদের ইনপেসেন্ট- আউটপেসেন্ট দুভাবেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এবং শিশুদের থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মায়েদেরকে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে তারা বাড়ি ফিরে তাদের শিশুদের এই সেবা অব্যাহত রাখতে পারে। সিআরপি- সাভার শাখায় বর্তমানে ইনপেসেন্ট পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া শিশুরা তাদের দু সপ্তাহের থেরাপি কোর্সে আবাসিক সুবিধা পেয়ে থাকে।

ফিজিওথেরাপি:
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অপরিহার্য শাখা ফিজিওথেরাপি রোগীর সার্বিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে সম্ভবপর সর্বোচ্চ চলনক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা আনয়ন করে এবং সারাজীবন এ অবস্থার ধারাবাহিকতা সচল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি সেবার জন্যে বিখ্যাত সিআরপি’র ফিজিওথেরাপি বিভাগ স্পাইনালকর্ড ইনজুরি, এডাল্ট নিউরোলজি, পেডিয়াট্রিক ইত্যাদি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ উভয় পদ্ধতিতে রোগীদের সেবা দান করে থাকে।

অকুপেশনাল থেরাপি:
পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে তার দৈনন্দিন কর্মকান্ডে স্বনির্ভর করে তুলতে নিবেদিত অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেবল সিআরপি তার বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অকুপেশনাল থেরাপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। এই বিভাগ তার হ্যান্ড থেরাপি, পেডিয়াট্রিকসহ মোট ৪টি ইউনিটে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন প্রকার স্নায়ুবিক সমস্যা যেমন- ষ্ট্রোক, মস্তিষ্কে আঘাত, যে কোন ধরনের ব্যথা, প্যারালাইসিস ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ কর্মক্ষম ও স্বনির্ভর করে তোলার জন্য রোগীদের বিশ্বমানের অকুপেশনাল থেরাপিসেবা প্রদান করা হয়। এই বিভাগে Half Way Hostel এর ব্যবস্থা আছে। যখন একজন রোগী সুস্থ হয়ে উঠে তখন তাকে ২ সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে সিআরপি’র Half Way Hostel এ থাকতে হয় । এখানে তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জিবন যাপন করে থাকে। এখান থেকে পরে তাদেরকে ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হয়।

সিআরপি স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগ :
এই বিভাগের বিশেষত্ব হল, যেসকল ব্যক্তি তাদের কথা বলার সমস্যার কারণে নিজেদের প্রয়োজন অন্য কারো কাছে ব্যক্ত করতে পারে না, তাদের সেই সমস্যা সমাধানে একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির নাম হচ্ছে স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি। এই বিভাগে ওই ব্যক্তিকে সুন্দর ভাবে কথা বলতে সাহায্য করা হয়। আর মেনুয়াল থেরাপিতে আছে কণ্ঠঅনুশীলন বা গলার ভয়েস সুন্দর করার প্রশিক্ষণ। এছাড়াও কানে শুনতে সমস্যা ও খেতে পারেনা এরকম সমস্যার সমাধানে কাজ করে থাকে এই বিভাগটি। বিভাগটি চালু হয় ২০০৪ সালে। ৪ বছর মেয়াদি শিক্ষা ও ১ বছর মেয়াদি ইন্টার্নশিপ সহ মোট পাঁচ বছরের সার্টিফিকেট কোর্সের ব্যবস্থা আছে সিআরপি’তে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টির অধিভুক্ত এই বিভাগটি লন্ডনেরUniversity of London College এর কারিকুলাম Follow করে থাকে। পাঁচ বছর মেয়াদী এই সার্টিফিকেট কোর্সের নাম “বিএসসি ইন স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি”। এই বিভাগের ক্লাশগুলো সিআরপি’র সাভার ক্যাম্পসেই হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সিআরপি-ই প্রথম ও একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি’র উপরে স্নাতক ডিগ্রী প্রদান ও থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই বিভাগ শিশু এবং বয়স্ক সকলকে নিয়েই কাজ করে।

বিভাগটির প্রধান হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টির ডীন। স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগ থেকে পাশ করে যারা বের হয় তাদের অধিকাংশই সিআরপি’র বিভিন্ন শাখায় কর্মরত থাকেন।

অর্থটিকস এন্ড প্রোস্থেটিকস: (Orthotics & Prosthetics):
এই বিভাগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। এই বিভাগে একজন মানুষের কৃত্তিম অঙ্গ সংযোজন করা হয়। শিশুদের পায়ের স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখা এবং ক্ষেত্র বিশেষে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের মাধ্যমে একজন মানুষের শরীরের স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে সিআরপির অর্থোটিক্স এন্ড প্রোস্থেটিক্স বিভাগ। বিভাগটিতে বছরে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা হলে ১২-১৫ জন প্রতিবন্ধীকে কৃত্তিম অঙ্গ সংযোজন করে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব।

স্পেশাল সিটিং:
শারীরিক প্রতিবন্ধীতার শিকার শিশুদের দেহভঙ্গি সঠিক রাখা, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা ও সহজে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম করতে পারার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিভাগ। এখানে শিশুদের বয়স ও শারীরিক ভঙ্গির বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল চেয়ার তৈরি করা হয়। পাশাপাশি সার্ভিক্যাল পিলো, লাম্বাররোলসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়ক সমাগ্রী তৈরি করা হয় এখানে।

সিআরপি-কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
একজন কর্মক্ষম ব্যক্তি কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধীতার শিকার হলে তার পক্ষে পুনরায় তার পূর্বের পেশায় ফিরে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সিআরপি তার পুনর্বাসন সেবার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে সহায়তা করে থাকে। এ লক্ষ্যেই সিআরপি তার সাভার ও গণকবাড়ি কেন্দ্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে বিনামূল্যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদেরকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সেলাই, ইলেকট্রনিক্স মেরামত (ফ্রিজের মত ভারী ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ছাড়া), কম্পিউটার এপ্লিকেশন, দোকান ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সহায়তা করা হয়।

সমাজভিত্তিক পুনর্বাসন:
চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ছাড়াও সিআরপি’র অপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে- কমিউনিটি বেইজড রিহ্যাবিলিটেশন (সিবিআর) কার্যক্রম। ১৯৯৪ সালে সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, ক্ষমাতায়ন ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় সিবিআর। বর্তমানে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেশের ৮টি জেলার ৬১টি উপজেলায় সিআরপি’র সমাজভিত্তিক পুনর্বাসন কর্মসূচী (সিবিআর) চালু আছে।

সিআরপি-একীভূত বিদ্যালয়:
যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা লাভে অংশগ্রহণ মৌলিক অধিকার। এই বিশ্বাস থেকেই সিআরপি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে একীভূত স্কুল উইলিয়াম এন্ড মেরী টেইলর স্কুল। এই স্কুলটি সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভেলেরির মাতা ও পিতার নামে করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, জন্মগত বা অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধীতার শিকার হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়া শিশুদেরকে শিক্ষা ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা। স্কুলটি দুটি ভাগে বিভক্ত- বিশেষ শিক্ষা ইউনিট ও একীভুত শিক্ষা ইউনিট। বিশেষ শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী তথা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরকে এখানে বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কর্মকান্ড, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও থেরাপি সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন শতাধিক শিক্ষাথীর মধ্যে ৬০ জন প্রতিবন্ধীতার শিকার।

এই বিদ্যালয় থেকে সফলভাবে শিক্ষা সমাপ্তকারী প্রতিবন্ধী শিক্ষাথীদেরকে পরবর্তীতে তাদের স্ব স্ব এলাকার সরকারী স্কুল-কলেজে ভর্তি হওয়া পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সামগ্রিক সহায়তা করা হয়।

বিএইচপিআই:
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত ও দক্ষ পেশাজীবী সৃষ্টির লক্ষ্যে সিআরপি ১৯৯২ সালে তার সাভার ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশন্স ইনস্টিটিউট বা বিএইচপিআই। অল্প কয়েক বছরেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে বিএইচপিআই। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন রিহ্যাবিলিটেশন নার্সিং, ফিজিওথেরাপী এবং অকুপেশনাল থেরাপী (এগুলো সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা এবং বিএসসি অনার্স ডিগ্রী), বিএসসি ইন স্পীচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপী, ডিপ্লোমা ইন ল্যাবরেটরী সাইন্স এবং রেডিওগ্রাফী, স্পেশাল এডুকেশন এবং কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ান সার্টিফিকেট কোর্সসহ মোট ১৩টি কোর্সে অনার্স, ডিপ্লোমা ও অ্যাসিস্টেন্ট কোর্স প্রদান করছে। সিআরপি’তে শিঘ্রই রিহ্যাবিলিটেশন সাইন্স এ মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হতে যাচ্ছে। কোর্সগুলো বিভিন্ন মেয়াদে হয়ে থাকে।

প্রতিবন্ধীতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্কিং:

সিআরপি তার প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধীতা নির্মূলের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধীতা সংক্রান্ত সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি নিয়মিত প্রকাশনা, পোস্টার, লিফলেট, রোড সেফটি সাইনবোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে সিআরপি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

সিআরপি’র এক বিষ্ময় যুবক ইব্রাহীম খলিল:
৩৪ বছর বয়সি ইব্রাহীম খলিল। তার দু’টি হাত নেই। অথচ খুব চমৎকার ভাবে সে মুখের সাহয্যে রঙ তুলি দিয়ে ছবি আঁকতে পারে। ইব্রাহীম খলিল পেশায় ছিলো আগে মেকানিক। সে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের পিলার থেকে পড়ে যায়। এর ফলে তার দু’হাত জখম হয়। এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভুল চিকিৎসার ফলে তার দু’টি হাত কেটে ফেলতে হয়। সে এখন সিআরপি’তে হুইল চেয়ারে বসে থাকে আর ছবি আঁকে। তার আঁকা ছবিগুলো খুবই চমৎকার হওয়ায় সেগুলো অনেক দামে বিক্রি হয়।

সিআরপি-উপকেন্দ্র ও বিভাগীয় কেন্দ্র:
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের জন্য সিআরপি তার সেবা-কর্মকে সমগ্র দেশে পৌছে দেবার লক্ষ্যে সরকারি- বেসরকারি, দেশি-বিদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রধান কার্যালয় ছাড়াও পাঁচটি সাব-সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। এগুলো সাভারের গণকবাড়ী, ঢাকার মিরপুর, নবাবগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার গোবিন্দপুরে এবং মানিকগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। দেশের সর্বত্র প্রতিবন্ধী মানুষেদের সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি দেশের প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সিআরপি। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি সিলেট বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগে সেবাকার্য সম্প্রসারণ করেছে সিআরপি।

সিআরপি’র আর্থিক সংস্থান:
সিআরপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও বিশেষভাবে বিভিন্ন দাতা সংস্থা, ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদানের উপরই নির্ভশীল। যার মাধ্যমে দরিদ্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক ভর্তুকি মূল্যে সেবা প্রদান করা হয়। সিআরপি’র আয়বর্ধক কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে – মৎস খামার, নার্সারী প্লান্ট, মৌসুমী ফল, পোল্ট্রি, হস্তশিল্প, হুইলচেয়ার এবং অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী বিক্রি, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা মৌলভবিাজারের গোন্দিপুরে পর্যটকদের থাকার জন্য চা বাগানে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সিআরপি’র ৪টি বাংলো রয়েছে। এই বাংলোগুলো ভাড়া দিয়েও সিআরপি’র আয় হয়। সিআরপি’র মিরপুরের ১৩ তলা ভবনে আয়ের জন্য কয়েকটি ফ্লোর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাইরের অনুদানের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে এবং নিজস্ব আয় আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা সিআরপি’র রয়েছে।

সিআরপি’র অন্যান্য বিষয়:
সিআরপি’তে বিদেশ থেকে যে সকল ফিজিওথেরাপিস্ট স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আসেন তারা প্রত্যেকেই এ দেশের পোষাক পরে থাকেন। যেমন, মহিলারা সেলোয়ার কামিস ও পুরুষরা সার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি পরেন। এর ফলে ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীর সাথে ভালোভাবে মিশতে পারে। সিআরপি’তে ৩ ভাবে চিকিৎসা করা যায়। ১০০% পরিশোধ করে, ১০০% ফ্রি ও ৫০% ফ্রি। সিআরপি ফার্মেসীতে যে ঔষধ বিক্রি হয় তার লভ্যাংশ প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সেবায় খরচ হয়।

সিআরপি’র মোট ৪২ টি বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আর কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ মোট ৬০০ স্টাফ সিআরপি’তে কাজ করে। সিআরপি’তে কাজের সময় নাস্তার ট্রলি সব ডিপার্টমেন্টের সামনে চলে যায়। এতে করে নাস্তা করতে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। আর এর ফলে কাজের অনেক সময় বেঁচে যায়।

সিআরপি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সিআরপি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে, বাংলাদেশের ৭ টি বিভাগেই এর কেন্দ্র করা ও কার্যক্রম পরিচালনা করা।

আমাদের প্রয়োজনেই সিআরপি:

প্রিয় পাঠক, সিআরপি’তে সেবা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই হচ্ছেন সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণীর অদক্ষ শ্রমিক। যাদের অধিকাংশেরই চিকিৎসা ব্যায়ভার বহনের ক্ষমতা নেই। তাই দাতাদের অনুদানের মাধ্যমেই এদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। সিআরপি’র এখন নিজস্ব যে আয় আছে তা দিয়ে চিকিৎসা খরচের কিছুই হয়না। তবে বাংলাদেশ সরকার ও সমাজে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা এখানে অত্যন্ত প্রয়োজন। আরও বিশেষ একটি বিষয় হচ্ছে, সমাজের যারা প্রতিবান্ধ তারা আপনার, আমার বা আমাদেরই করো না করো পরিচিত জন বা স্বজন। তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য আমাদেরকেই সিআরপি’র প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই আপনার অনুদান এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সিআরপি’র সাথে সম্পৃক্ততাকে সাদরে গ্রহণ করবে সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে সিআরপি’র একজন বন্ধু হিসেবে আপনাদের অগ্রহ, মনোযোগ ও অবদানের ব্যাপারে সিআরপি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আশাবাদী।

বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সিআরপি’কে বাৎসরিক কিছু অনুদান দিয়ে থাকে। সিআরপি’র বাকি টাকা আসে VTT (Velory Teylor Trust) ও Friends of CRP থেকে। সিআরপি’র বাৎসরিক খরচের সিংহভাগই আসে দেশের বাইরে থেকে। বাংলাদেশের ধণী ব্যক্তি তথা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ব্যাক্তিরা যদি সিআরপি’র এই কাজকে আরও গতিশীল করতে এগিয়ে আসেন তাহলে সিআরপি আরও ভালো ভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। যার মধ্য দিয়ে এদেশের বিত্তবানরা আর্ত মানবতার সেবার এক বিরাট সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রামের পটিয়াতে ‘একে খান ফাউন্ডেশন’ সিআরপি’কে ৪০ বিঘা জমি দান করেছে। একজন প্রতিবন্ধী বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির পিছনে সিআরপি’র প্রতিদিন ১০৪০ টাকা খরচ হয়।
সিআরপি’তে যোগযোগ করতে অথবা অনুদান দিতে চাইলে:
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি), বাংলাদেশ।
পোঃ সিআরপি-চাপাইন, সাভার, ঢাকা-১৩৪৩
ফোন: ৭৭১০৪৬৪-৫, ফ্যাক্সঃ ৭৭১০০৬৯

ব্যাংকের তথ্যাদি:

হিসাবের নাম: ট্রাস্ট ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড।
হিসাব নং: ০১-১২৪৫৩৩৩-০১
স্টান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা।

যোগাযোগ:
ডোনার লিয়ঁজো অফিসার
মোবাইল: ০১৭১৪-৭৮৫৮৭৮, ০১৭১৩-০১৬৫৮৭
ইমেইলঃ fundraising@crp-bangladesh.org
ওয়েবসাইটঃ www.crp-bangladesh.org

আরও পড়ুন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *