সুপ্রিম কোর্ট ‘উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদারসা এডুকেশন অ্যাক্ট ২০২৪’ কে অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২২ মার্চের রায় স্থগিত করেছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা বোর্ড অ্যাক্টকে ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘনকারী’ আখ্যা দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। শুক্রবার সেই নির্দেশে স্থাগিতাদেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূদ, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে হাইকোর্ট প্রাথমিকভাবে আইনের বিধানগুলি বুঝতে ভুল করেছে। শীর্ষ আদালতের এ পদক্ষেপে স্বস্তি লাভ করেছে উত্তরপ্রদেশের অন্তত ১৭ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।
২০০৪ সালে পাশ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন অ্যাক্ট। গত মাসেই সেই আইন বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। অংশুমান সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় সে রায় দেয় হয়। তখন হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
শুক্রবার শুনানির পর এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রায় পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানান, মাদ্রাসা বোর্ড গঠন করলে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ মোটেই ক্ষুণ্ণ হয় না। মাদ্রাসা বোর্ডের আদর্শ এবং কার্যকলাপ সম্পূর্ণ বৈধ। হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়ার পর কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নোটিস দেয়া হয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডকেও। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সুত্র: এনডিটেভে. লাইভ ল’ ও জারগান