প্রস্তাবিত পর্যটন বাজেট প্রত্যাখান করে পুনর্বিবেচনার দাবি

পর্যটন ফিচার
শেয়ার করুন

আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত পর্যটন বাজেট প্রত্যাখান করে তা পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে। গত ৩ জুন, শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানায় ‘সম্মিলিত পর্যটন জোট’।

সম্মিলিত পর্যটন জোটের প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম সাগরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। পর্যটন খাতে বাজেটের পুরো আলোচনায় ছিল বিমান, ট্রাভেল ট্যাক্স এবং ৫ তারকা হোটেলের আমদানি সুবিধা বাতিল।

সেখানে পর্যটন খাতের বেসরকারি বিনিয়োগকৃত প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সুরক্ষার বিষয় অবহেলিত হয়েছে। ৪৫ লাখ পর্যটন পেশাজীবীর সুরক্ষা উপেক্ষিত, প্রান্তিক জনপদের পর্যটন উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সম্মিলিত পর্যটন জোটের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তাবিত পর্যটন বাজেট প্রত্যাখান করছি।

সম্মিলিত পর্যটন জোটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করার দাবি করেছিলাম। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে আমরা দাবি করেছিলাম, অপ্রদর্শিত অর্থ পর্যটন খাতে অবাধ বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে। পর্যটন শিল্পের জন্য শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ দিতে হবে।

পর্যটন রপ্তানিতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ইনসেন্টিভ দিতে হবে। পর্যটনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে পুনরায় ভ্যাট-ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ট্যুরিজম জোন এবং আন্তর্জাতিকমানের সুবিধা দিতে হবে। পর্যটন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য রেশনিংসহ অন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আমাদের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে।

আমরা মনে করি, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। একটি দেশের পর্যটন খাত যতটা উন্নত; সেই দেশ ততটা উন্নত। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি পর্যটন খাতের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এ খাতে বরাবরই পিছিয়ে আছি।

পর্যটন খাতকে সরকারের আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত পর্যটন বাজেট পুনর্বিবেচনার জন্য জোর দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *