বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্লোডিন গে পদত্যাগ করেছেন। ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে মন্তব্য করায় একটি পক্ষের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে পদত্যাগের ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
গত বছরের জুলাইয়ে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ক্লোডিন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮৭ বছরের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট এবং এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে নেতৃত্ব দেওয়া দ্বিতীয় নারী।
১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রেসিডেন্ট ক্লোডিন। তিনি ১৯৯৮ সালে সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটিতে। এর আগে কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব সামলেছেন ক্লোডিন।
এক বিবৃতিতে ক্লোডিন বলেন, হৃদয়কে শক্ত করে ও হার্ভার্ডের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করে সবাইকে জানাতে চাই, আমি হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। জাতিগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে আমার মনোভাব ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বেশ কষ্টদায়ক ছিল। এ জন্য জাতিবিদ্বেষীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও হুমকি পেতে হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের শিক্ষাসংক্রান্ত কমিটিতে শুনানি হয়। এতে অংশ নেন ক্লোডিন। শুনানিতে আরও ছিলেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এ শুনানির প্রতিক্রিয়ায় ৭০ আইনপ্রণেতা তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেন। এমনকি হার্ভার্ডের প্রভাবশালী সাবেক ইহুদি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে দাতারাও ক্লোডিনের অপসারণ চান। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাত শতাধিক শিক্ষক ক্লোডিনের সমর্থনে একটি চিঠি লিখেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল ইহুদিবিদ্বেষ ইস্যুতে ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগে বাধ্য করতে সেখানে একজন বড় দাতা বলেছিলেন, তিনি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসকে দেওয়া ১০০ মিলিয়ন ডলারের উপহার প্রত্যাহার করবেন। সুত্র: এএফপি ও বিবিসি