আমেরিকার বন্দুকধারীদের গুলিতে মারা গেছেন সিলেটের ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবুল

আমেরিকা প্রবাসী সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

আমেরিকার নিউইয়র্ক বাফেলোতে বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। নিহতরা হলেন সিলেটের মোঃ ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া। শনিবার দুপুর দেড়টায় এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে।

সিলেট শহরতলী মেজরটিলা নিবাসী নুরুল হক মেম্বারের বড় ছেলে আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ মাত্র বছর দিন আগে আমেরিকায় গিয়েছেন। নিউইয়র্কের বাফেলোতে হিজলউড এলাকায় বাস করতেন। নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের মূল বাড়ি কানাইঘাট উপজেলা ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তিনছটি গ্রামে। আর বাবুল মিয়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর উত্তরপাড়ার মরহুম আবদুল আজিজের ছেলে। ডিভি লটারি পেয়ে ১৯৯১ সালে আমেরিকা গিয়ে ছিলেন।

বাফেলোতে বসবাসকারী দৈনিক সময়‘র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাওলানা ফাইয়াজ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ইউসুফ ও বাবুল খুবই হাসিখুশি ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। তারা পাশাপশি বাসায় থাকতেন। একসাথে কাজ করতেন। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে হিজলউড এলাকায় সকলের পরিচিত ছিলেন। মি. চৌধুরী বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তিনি আজ সকালে মোঃ ইউসুফের মেজরটিলা এলাকার ইসলামপুর ডি ব্লকের ১১৯/২ বাসায় গিয়ে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

নুরুল হক মেম্বার ও তার তিনি ভাই এখানে থাকেন। মি. হকের তিন ছেলে এক মেয়ে। মো: ইউসুফ ছিল সবার বড়। তার বোন ডাক্তার এবং এক ভাই ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। মা নাজিনা বেগম জৈন্তাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিক। মো: ইউসুফ বাফেলোতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার (৪৫) স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছেন। ২০১০ সালে দেশ থেকে তিনি পরিবার নিয়ে যান। এক বছর আগে অল্পদিনের জন্য দেশে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবারে মোঃ ইউসুফ ও বাবুল মিয়া বাফেলোর জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে একটি বাসার রঙের কাজে ছিলেন। দুপুরে এক সাথে কাজ করার সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে তারা প্রাণ হারিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউছুফ ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে গুরুতর আহত বাবুল মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনিও মারা যান।

এই মর্মান্তিক হত্যার খবরে বাফেলো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিটি অব বাফেলোর এশিয়ান অ্যাডভাইজার শাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে দুই বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ঘটনার কারণ সংগ্রহ এবং আসামীদের দ্রুত ও কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সকলের সহায়তা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *