ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটির জনগণ। শনিবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার ইসরাইলি কয়েকটি শহরে সমাবেশ করেছে।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেল আবিবের মূল বিক্ষোভে লক্ষাধিক ইসরাইলি অংশ নিয়েছে। অন্যান্য শহরেও ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে। এ নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে গড়াল।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বলেছেন এই সংস্কারের ফলে আদালত দুর্বল হয়ে পড়বে এবং ক্ষমতাসীন জোট সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে যে বিচার ব্যবস্থার লাগাম টেনে ধরতে সংস্কারগুলো প্রয়োজন। কারণ সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিচার ব্যবস্থা ‘খুব শক্তিশালী’ হয়ে উঠেছে।
তারা আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রায়ই রাজনৈতিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করে যা সংসদ দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত।
নেতানিয়াহু এবং তার জোটের অংশীদাররা বলেছে যে ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও সংস্কারের জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে তারা। মুসলিম মিরর এ খবর দিয়েছে।
অপরদিকে, আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের দমাতে ইহুদিদের সাধারণ নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে ৩২ নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে গত শুক্রবারই পূর্ব জেরুজালেমে সিনাগগের বাইরে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শহরে অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক বৃদ্ধা নারীসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। মুসলিম মিরর, আল-জাজিরা।