বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় আজ ২০ মার্চ, রোববার অর্ধশত যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত অন্ততঃ দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লঞ্চটির আরোহীদের আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
রোববার দুপুর দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, আশপাশের নৌযান থেকে লোকজন চিৎকার করছিল, কিন্তু লঞ্চের ওপর উঠে পড়া জাহাজটি গতি কমায়নি। এরপরই নৌ পুলিশ, দমকল বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। দমকল বিভাগের ডুবুরিরা অন্তত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে একজন মহিলা এবং একটি ১২ বছর বয়স্ক শিশু। নিমজ্জিত লঞ্চটির অবস্থানও চিহ্নিত করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী সেসময় লঞ্চের ভেতরে ছিলেন। লঞ্চটি ডুবে যাবার সময় কিছু যাত্রী পানিতে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠেছেন। সেখানে দেখা যায়, রূপসী-৯ জাহাজটি একপাশ থেকে চলন্ত লঞ্চটির ওপর চেপে বসে। লঞ্চের আতঙ্কিত যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন। এ অবস্থা চলে প্রায় ২৫ সেকেন্ড। এক পর্যায়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। যাত্রীদের অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।এম এল আশরাফ উদ্দিন-২ নামের ওই লঞ্চটি অর্ধশত যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পথে চর সৈয়দপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল লঞ্চটি। সোনাকান্দা এলাকায় কয়লা ঘাটের কাছে রূপসী-৯ জাহাজটি পেছন থেকে চাপা দিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, রূপসী-৯ সিটি গ্রপের মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজ। আর জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ভেসেলফাইন্ডারে রূপসী-৯ এর মালিক হিসাবে সিটি সিড ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজের নাম রয়েছে।
গত বছরের ৪ এপ্রিল ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মালবাহী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে একটি লঞ্চ ডুবে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়।