রাসুল আমার ভালোবাসা | জাকির আবু জাফর

সময় সাহিত্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ভালোবাসা শব্দটি ভীষণ গভীর। গাম্ভীর্যপূর্ণ! মর্যাদাবান! সম্মান ও সৌন্দর্যের এক অতুলনীয় উপমা। ভালোবাসার চেয়ে মধুর শব্দ জগতে নেই আর। শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে মায়ার পরশ! এর চেয়ে প্রিয়তম উচ্চারণও নেই। এর উচ্চারণে মোড়ানো মধুরতা। যখনই উচ্চারিত হয় শব্দটি পরিতৃপ্তির আনন্দে ভরে ওঠে মন। ঠিক বর্ষায় ভরা টইটম্বুর পুকুরের মতো! যাকে ঘিরে উচ্চারিত হয়- ভালোবাসা তার থেকে মুহূর্তে সরে যায় পথের সকল দূরত্ব। মুছে যায় সকল সংকট! মিটে যায় সকল বিভ্রান্তি।

সকল সমস্যা ছাড়িয়ে পাহাড়ের চূড়ার মতো উঁচু হয়ে ওঠে ভালোবাসার শির! পূর্ণিমা চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে এর জ্যোতি! ভালোবাসার শরীরে থাকে না কোনো অন্ধকার। থাকে না দ্বিধা ও সংশয়। ভালোবাসা মানেই ক্রমাগত নিজেকে সপে দেয়া। নিজেকে মজিয়ে তোলা। সংশয় ও সন্দেহের উর্ধে উঠে আসা। সুখ ও দুঃখ ছাপিয়ে অন্য এক অনুভবে জেগে ওঠা।

প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ধারা আছে। নিজস্ব চেতনা ও চৈতন্য আছে। নিজস্ব দৃষ্টির ঐশ্বর্য আছে। আছে নিজস্ব মনোজগৎ। অবশ্য সবাই তার নিজস্বতা আবিস্কার করার শক্তি রাখে না। কিংবা চেষ্টাও করে না আবিস্কারের। কিন্তু প্রতিটি মানুষের ভেতর থাকে তার নিজস্ব পৃথিবী। আমারও আছে নিজস্বতা। আছে আমার একান্ত জগৎ। কখন কীভাবে এর আদ্যপান্ত আমার অনুভূতির গহীনে জেগে উঠলো জানি না। কিন্তু জেগেছে এ কথায় কোনো কমতি নেই। আমার নিজস্বতায় কেনো যেনো মনুষ্য জগতের উর্ধের কিছু উজ্জ্বল! দৃষ্টির অতিরিক্ত দৃষ্টি যেনো আমার চোখে। আমার ভেতর যেনো এক চিরন্তন শিল্পের সম্মিলন! যা রাত ও দিনকে মিলিয়ে দেয় এক রেখায়। যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত নতুনের শিখায় জাজ্বল্যমান। যেখানে অতীত ও ভবিষ্যত বর্তমানের বিন্দুতে একাকার। আমার নিজস্বতায় ভাষা পায় মৌমাছির গুঞ্জন। স্ব শব্দ হয় পিঁপড়ের পায়ের আওয়াজ । জোনাকির জ্বলে ওঠার ভেতর এক বিস্ময় রহস্যের ঘ্রাণ পাই। মধ্যরাতের নৈশব্দে হঠাৎ ডেকে ওঠা রাত পাখির জিকির আমাকে দুলিয়ে দেয়।

আমার জগতে আমার কল্পনার ছায়াপথ আছে। এখানে ফোটে নানা নক্ষত্রের দ্যুতি! আমি তার আলো দেখি। তার আলো মাখি! শরীরে জড়াই। মাখামাখি করি আত্নার সাথে। এক চিরন্তন জ্যোতির সৌন্দর্যে মোহিত হই। যেদিকে তাকাই কেবলই সেই জ্যোতির অনন্ত উজান। কেবলই সেই নুরের ধারা বহমান দেখি সর্বত্র! আমার ভেতর পৃথিবীতে এক আলোর সংসার। এ আলো কখনও নদী হয়ে বয়ে যায়। কখনও ঝর্ণার মতো চঞ্চলা স্রোত হয়ে ছোটে। কখনও সমুদ্রের মতো তরঙ্গায়িত দোল। আবার কখনও জোছনার নৈশব্দের মতো স্থিরতায় উজ্জ্বল।

ভালোবাসার রকমফের তো আছেই। সন্তানের দিকে মা বাবার ভালোবাসা। মা বাবার প্রতি সন্তানের। মানুষের প্রতি মানুষের। নর নারীর পারস্পরিক এবং স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার আনন্দ। সম্পদ-সম্পত্তির প্রতিও ভালোবাসা থাকে। থাকে প্রাণীদের দিকেও। বৃক্ষপ্রেমী অথবা পাখিপ্রেমের কথা শুনি হরদম। নিজের প্রতি নিজেরও উত্তাপ থাকে ভালোবাসার। কিন্তু রাসুলের ভালোবাসার সাথে এর কোনোটির তুলনা চলে কি! এক কথায়- না। একদমই- না। তাহলে? তাহলে সাদা কথায় বলা যায় – রাসুলের ভালোবাসা তুলনাহীন।

এরই প্রেক্ষিতে রাসুলের ভালোবাসা নিয়ে আমার নিজস্বতা কি বলে?
আমার নিজস্বতা বলে- যাকে ভালোবাসো তাঁর মতো করে জীবন যাপন করো। তাঁর মতো সাজিয়ে তোলো নিজেকে! তাঁর কথা মান্য করো। তাঁর পছন্দ অপছন্দ গ্রহণ করো। তার পদচিহ্নে পা রাখো। তার মতো হাসো। কাঁদো। হাঁটো। তাঁর মতো করে খাও। তাঁর মতো পরিধান করো। তাঁর মতো চলাফেরা করো। তাঁর মতোই ঘুমাও। জাগো। বিশ্বাস করো। অবিশ্বাস করো। বিশ্বাসে দৃঢতা রাখো। অবিশ্বাসেও। তাঁর মতো অবিচল থাকো সত্যের পথে। বদরের প্রান্তর থেকে ঘ্রাণ নাও। ওহুদের উপত্যকা থেকে নাও রক্তের দাগ। খন্দক থেকে নাও দৃঢতার গন্ধ। সারা পৃথিবী একদিকে থাক তো থাক। তুমি একা থাকো সত্যের দিকে। সবাই চাষ করুক মিথ্যের। তুমি ফলাও সত্যের ফসল। সবাই লোক দেখানো করুক। তুমি থাকো অলৌকের দিকে। সত্য মিথ্যার দাগ না মানুক কেউ। তুমি মানো। সাদা কালোর ব্যবধান কেউ না করুক। তুমি করো। সয়লাব হোক অবিচারের জোয়ারে। তুমি বিচারের দিকেই থাকো। তোমার পথ – ন্যায়ের পথ। তোমার পথ ইনসাফের পথ। সেই পথ তোমার যা পৃথিবীর বুক থেকে পৌঁছে গেছে চিরদিনের দিকে। ইহকাল থেকে পরকালের দিকে। নশ্বর থেকে অবিনশ্বরের দিকে। এবং দুনিয়া থেকে জান্নাতের দরোজার দিকে।

রাসুল যখন কারো ভালোবাসা হয় তার আর ব্যক্তিগত পছন্দ থাকে না। অপছন্দও না। তিনিই হয়ে ওঠেন তাঁর জীবনের সর্বময় আঙ্গিক। তার চিন্তা জগতেও ঘটে তাঁরই আলোড়ন। সমস্ত লয় ক্ষয়ে থাকে তাঁরই সৌরভ। তার নিশানা হয়ে ওঠে সবকিছুর উর্ধে অসীম সৌন্দর্যের দিকে। সবকিছু যায় তাঁর দিকে- যিনি এককত্বের নান্দনিক শিল্পে মুখরিত। যিনি কেবলই এক এবং একক। তিনি কাউকে জন্ম দেন না। তিনিও কারো থেকে জন্মাননি। তাঁর সমকক্ষ কেউ নন। কেউ নেই। তিনি চিরঞ্জীব-মৃত্যুহীন। তিনি সর্বত্রের বিস্ময় আনন্দে চির জাগ্রত। তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করে না তাঁকে। আকাশ পৃথিবীর একমাত্র অধিপতি-সম্রাট তিনি। তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রার্থনা করে কে! কে সুপারিশ করে তাঁর অনুকম্পা ছাড়া! আগে পরের সবকিছুই তাঁর অনুপুঙ্খ জানা। তাঁর জ্ঞান ঘিরে রেখেছে জগতের সকল বস্তু। মানুষ তো সেটুকুই জানে যে টুকু জানান তিনি। তিনিই মহামান্য! মহত্তম! সর্বোচ্চ সম্মানের মালিক। সকল রাজার রাজা। সকল রাজ্যের একক মালিক। সকল শক্তি মুষ্টিবদ্ধ তাঁর হাতে। সকল সুন্দরের উৎস। তিনি আলোর অধিপতি। অন্ধকারের স্রষ্টা। তিনি ঊষা ও উদয় অস্তের শিল্পী। তিনি সাত আকাশ এবং সাত জমিনের নির্মাতা।

তাঁর কাছেই অদৃশ্যের সকল চাবি। জলে স্থলের সকল কিছুই তাঁর জ্ঞানের অধীন। গাছের কোন পাতাটি ঝরে পড়ছে তিনি জানেন। ঝরা পাতাটির পতনের স্থানও নির্ধারণ করেন তিনিই। প্রবল অন্ধকারে পাথরের নীচে লুকায়িত শস্য-দানা কিংবা ক্ষুদ্র কীটও তাঁর দৃষ্টির বাইরে নয়। পৃথিবীর ভূমি কোথায় কতটুকু শুকনো কতটুকু ভেজা জানেন তিনি। সমগ্র জগতের বালি রাশির পরিমাণ শুধু নয় সংখ্যাও জানেন তিনি। তাঁর দিকেই পৌঁছে যায় রাসুলের ভালোবাসার নদী।
রাসুল আমার ভালোবাসা! আমার জীবনের আনন্দ ও বেদনার নিরন্তর জ্যোতি। আমার সমগ্রতায় তিনি একমাত্র আদর্শের নকশা। আমি ভালোবাসি তোমাকে হে রাসুল। কেবল তোমাকেই।

কেনো রাসুল আমার ভালোবাসা! কেনো আলো- অন্ধকারে তিনিই আমার দিশারী! কারণ- তিনি বিশ্ব জাহানের রবের নির্বাচিত আলোর প্রতিনিধি। তাঁর মতো সত্যেমুখ আর নেই পৃথিবীর বুকের ওপর! মিথ্যের দুর্গন্ধ থেকে পবিত্র তিনি! অসুন্দর স্পর্শও করতে পারেনি তাঁকে। তাঁর মতো শিল্পীত মানুষ নেই আর। তাঁর মতো পরিশীলিত মানুষও নেই। এতো উন্নত রুচির কাউকে পাই না আকাশের নীচে। এতো উত্তম মনের মানুষও নেই জগতের কোথাও! বিন্দু-সম কলংকও তাঁর চরিত্রে লাগেনি। তিনিই মানব জাতির উসওয়াতুন হাসানা- সর্বোত্তম সুন্দর ও অনুসরণের অনন্য উপমা।
মানুষের কিছু কল্পনার জগৎ থাকে। আমারও আছে।কল্পনায় আমি পৌঁছে যাই সেই সময়টিতে। যখন রাসুল স একটি পর্বতের গুহায় ধ্যানে নিবিষ্ট ছিলেন। এ পর্বতের নামই তো হেরা। এ পর্বত এতোই ভাগ্যবান এতোই মর্যাদার অলংকারে মণ্ডিত যা তুলনাহীন। এ পর্বতের এক গুহার নিঃসীম অন্ধকারে অবতীর্ণ হলো মানব জাতির চিরকালের জ্যোতি। জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যে দেয়াল নির্ণয়কারী বিধান মহাগ্রন্থ আল কোরআন। এ দৃশ্য বিস্ময়কর রূপে আমার কল্পজগতের আয়নায় ভেসে ওঠে।

রাসুলের প্রতি আমার ভালোবাসা আমাকে টেনে নেয় সেই দৃশ্যের দিকে। যেখানে সমগ্র মক্কা নগরীর সবকিছু ঘুমন্ত। শহরে বসবাস করা সকল চোখগুলোর পাতা একটির সাথে আরেকটি জড়িয়ে আছে। নগরীর প্রাসাদগুলো ঘুমের ঘোরে আক্রান্ত। পড়ে আছে একটি মৃত নগরীর মতো। পাহাড় পর্বত ঘুমিয়ে। মরুভূমিও ঘুমের কোলে আচ্ছন্ন! কাঁটা গুল্ম এবং মরু- পাখিরা ঘুমে অচেতন। তখন ঠিক তখনই জেগে আছেন একজন মানুষ ! ঘুমহীন তাঁর দুটি চোখ। মনের ভেতর এক বিস্ময় ঝড়! কিসে মুক্তি মিলবে মানুষের। কোন মন্ত্রে দূর হবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ! কীভাবে নেভানো যায় সমাজে অশান্তির আগুন।

তিনি হেরা গুহায় ধ্যানে মগ্ন। রজনীর গভীর ভাগে ধ্যান ভেঙে একা পর্বতের চূড়ায় এসে দাঁড়ালেন। চারিদিকে তাকান তিনি। মক্কা নগরীর দিকে তাকান। পাহাড়ের উচ্চ চূড়া থেকে ঘুমন্ত মক্কা নগরীকে মনে হয় নির্জীব এক বিরাট মৃত নগরী! তিনি আরেকদিকে ফেরেন। সেদিকে কেবলই মরুভূমির বিশাল বিস্তার! এবার অন্যদিকে দেখেন- সেদিকে শুধু বালি ও পাথরের পাহাড় আর পাহাড়। অতঃপর আকাশের দিকে চোখ তোলেন। পাহাড়ের চূড়া থেকে আকাশ খুব নিকটেই মনে হয়। মনে হয় নক্ষত্রগুলো তাঁর নিকটবর্তী হয়ে গেলো।অথবা তিনি কাছাকাছি হলেন নক্ষত্রের। মধ্য রাতে হয় তো আধখানা চাঁদ আকাশের এক কোনে ঝুলে আছে। অথবা চাঁদ নেই। মরু-পর্বতের আকাশে যেনো বিছানো নক্ষত্রের জাল। মিটিমিটি হাসছে নক্ষত্রগুলো। নক্ষত্রের এই জ্বলা নেভার বিস্ময় আয়োজন দেখে তিনি তন্ময় হতেন। ভাবতেন কোন শিল্পীর কারুকার্য খচিত এসব নক্ষত্রের লীলা। কোনো কোনো রাতে থাকতো পূর্ণিমার ঢল-জোছনা। আহা গোলগাল পরিপূর্ণ চাঁদটি মধ্য যামিনীতে যখন খলখলে জোছনার জোয়ার বইয়ে দিতো তৃণলতাহীন মরুর বুকে। কেমন অনুভূতি হতো আমার রাসুলের! তখন কী ভাবতেন তিনি! মেঘহীন আকাশের বুকে এতো বিশাল জ্যোতির পিন্ড চাঁদটি দেখে তিনি আকুল হতেন তাঁর মালিকের জন্য। আলোয় ভরা ভাগ্যবান হেরা পর্বতের চূড়ায় সে মানুষটির দুটি পা বহন করতো চূড়ার শির। ইস! পর্বত নিশ্চয় আনন্দে কেঁপে কেঁপে উঠতো। বিশ্ব জগতসমূহের জন্য যিনি রহমত। তাঁর কদমের ভার পেয়ে পর্বতের খুশির অন্ত ছিলো না।

চাঁদের জোছনামাখা মধ্যরাতের মরু বাতাসের কথা ভাবি। কী সৌভাগ্যের সেসব বাতাস যে বাতাসগুলো আমার রাসুলকে ছুঁয়ে পালিয়ে যেতো পৃথিবীর কোনো দিগন্তের দিকে। কোথায় যেতো সে সব বাতাস! কোথায় আছে তারা! আজও কি আছে পৃথিবীর বুকের ওপর! মনে হয়- আহা যদি সে বাতাসগুলো উদ্ধার করা যেতো! যদি সেসব বাতাসের শরীর থেকে রাসুলের সৌরভ ছেঁকে নেয়া যেতো! যদি পর্বতের সেই বালিগুলো কুড়িয়ে নেয়া যেতো যে বালিরাশি ছুঁয়েছিল রাসুলের কদম মুবারক!

রাসুলের ভালোবাসার কথা ভাবলেই কখনো কখনো হঠাৎ মনে হয় – হেরা পর্বতের গুহায় ফেরেশতাকুলের সবচেয়ে সম্মানিত ফেরেশতা জিব্রাইলের জ্যোতির প্রবল জোয়ারে ঝলসে ওঠা গুহার অভ্যন্তর! জ্যোতির সেই তীব্র তরঙ্গ ছড়িয়ে গেলো বিশ্বের তাবত আঙ্গিনায়। গুহার চূড়া থেকে ধীরে ধীরে নামছেন তিনি। আর পর্বতের পাঁজর বিগলিত তাঁর সম্মানে। তিনি নেমে এলেন পৃথিবীর পিঠে।

তাঁকে সালাম দিচ্ছে গাছগাছালি। পাখি। পাথর এবং চারিদিকে গুল্মলতা। আহা জগৎসমূহের রহমত যিনি আজ তিনি পেয়েছেন ইহকাল ও পরকালের নূর! পেয়েছেন মানুষের আত্নার আহার। পেয়েছেন মানুষের পথের একমাত্র দিশা।
তাঁর ওপর অবতীর্ণ মহা গ্রন্থ- সত্য মিথ্যার মানদণ্ড। এ গ্রন্থের সৌরভে মুখরিত জগতের সকল কিছু। এ গ্রন্থের মানচিত্র আমার রাসুলের জীবন। আমি এ মানচিত্রের প্রতিটি অংশকে ভালোবাসি। এই মহা গ্রন্থের উন্মুক্ত বাণীর দিকে মানুষকে আহ্বান করার দায়িত্ব পেলেন তিনি। ডাকলেন বিশ্বজগতের সকলকে। বললেন – একক সত্ত্বার প্রতি সমর্পণের কথা। তাঁর বিরুদ্ধে চোখ তুললো আরবের তাবত অবিশ্বাসী। তিনি একা পাহাড়ের অধিক দৃঢতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন তাঁর মহান রবের দিকে। ধীরে ধীরে আরবের ধীমান মানুষগুলো চাক-ঘেরা মৌমাছির মতো জড়ো হলো তাঁর চারপাশে। তাঁর পরশে তারা হয়ে গেলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ!
জীবনের ভেতর বাহির সকল কিছুতেই তাঁর দেখানো পথ উন্নত জীবনের শিল্প রূপে ঝলমল করছে আজও। করবে যতদিন ধ্বংস না হবে পৃথিবী।

তিনি মানব জাতির শিক্ষক! তিনি সৃষ্টি জগতসমূহের প্রতি রহমত। তিনি পৃথিবী ও পরকালের নেতা। কেয়ামতের মাঠে প্রথম তোলা হবে তাঁকে। হাশরে হিসাব নিকাশের সুপারিশকারী তিনিই। তাঁকে ছাড়া খোলা হবে না জান্নাতের দরোজা। তাঁকে ভালোবাসার চেয়ে দামী আর কী আছে সৃষ্টির ভেতর! তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার হাবীব। তিনি শ্রেষ্ঠ রাসুল। এ রাসুলই আমার ভালোবাসা।

আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *