বিএনপি প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে আসছে : নজরুল ইসলাম খান

প্রবাসী বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বিএনপি সব সময় প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে আসছে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা ইসিকে বলেছি দলের মধ্যে আলোচনা করে বিএনপি প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে মতামত জানাবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসীদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে ইসির যেই উদ্যোগ এখানে বিএনপি শুধু সমর্থনই করছে না, এটি বিএনপির দাবি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিবেচনায় নিলে হবে না। এনআইডির পাশাপাশি পাসপোর্টও বিবেচনায় নিতে হবে। কেননা, অনেকের এনআইডি নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ২০১৭ সালের ভিশন থার্টি ঘোষণা, ২২ সালের ২৭ দফাতেও প্রবাসীদের ভোটের কথা বলেছি। ২০২৩ সালের ৩১ দফার রাষ্ট্র সংস্কারের সময়ও এই বিষয়টি বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়ার উদ্যোগের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন আছে।

সেমিনারে প্রবাসীদের ভোটিংয়ের জন্য তিন প্রস্তাব (অনলাইন, প্রক্সি ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতির ভোটিং সিস্টেম) উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আমাদের দলে আলোচনা করে মতামত দেবো। কোনটা সবচেয়ে ভালো হয়, সে মতামত দেবো বলেও জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বিবেচনা করবো— সবচেয়ে যেটা সহজ, বোধগম্য হবে, সবচেয়ে যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে, যেটা সবচেয়ে সাশ্রয়ী হবে, সেই প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা সম্মত হতে পারবো বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে পার্সেন্টেজের কথা বলা হচ্ছে, এটার কোনো নির্ভরযোগ্যতা আছে কি না বলা যাবে না। একটা উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, যেমন সবচেয়ে বেশি ২৯ লাখ আছে ভারতে। আসলেই এটা সঠিক? ভারতে কি এত মানুষ আছে? ইউটিউবের সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কোনো সূত্র নেই। বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ প্রবাসে স্থায়ী হতে যায়, এই তালিকা কোথাও নেই, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা বিএমইটি—কোথাও নেই। কত প্রবাসী ফিরে এসেছে, সেই তালিকাও নেই। কাজেই এসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়।

তিনি বলেন, আমাদের দূতাবাসগুলোর যে অবস্থা, তাতে তাদের ওপর ভরসা করলে ঝুঁকি হবে। কারণ দূতাবাসগুলো তো প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সেবাই দিতে পারে না। কাজেই তাদের কতটুকু কাজে লাগানো যাবে, প্রশ্ন থেকেই যায়। দূতাবাসের সঙ্গে ইসির লোকবল যদি থাকে, সেটা যদি করা যায়, ডেটাবেজটা থাকলে অনেক কাজে লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *