সাম্প্রতিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে সংবাদের প্রথম পাতার খবর, ‘বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮ : পুলিশ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার আসামি করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও বিভাগ।
গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০১ জনকে। ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্দোলনের নামে যারা রাজধানীতে সহিংসতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনজন, আহতের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ জন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই ইস্যুতে মামলা দায়ের নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘অজ্ঞাত আন্দোলনকারীদের নামে আরও ১১ মামলা’। এ খবরে বলা হচ্ছে, এসব মামলার সব কটি মামলা শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে নয়টি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। বাকি দুটো মামলার বাদী ছাত্রলীগের দুজন নেতা। এসব মামলা ১২ থেকে ২১শে জুলাইয়ের মধ্যে হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছাত্রলীগ নেতা অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার জন কোটা আন্দোলনকারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আন্দোলনকারীরা তাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরেক ছাত্রলীগ নেতার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা দিলে পথিমধ্যে কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যানারে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী তার মুঠোফোন পরীক্ষা করেন। পরে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
একপর্যায়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বিকেল থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত নির্যাতন করা হয়।
এদিকে পুলিশের করা মামলার বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোনো ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে জড়িত ছিল না। সরকারের কথার সঙ্গে পুলিশের অভিযোগটি সাংঘর্ষিক’। ‘ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগকে আমরা সমর্থনই করি না। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবু এমন অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।’ তিনি জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার চিত্র নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘এত প্রাণক্ষয় এত ধ্বংসযজ্ঞ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৫ই জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। পরদিন ১৬ই জুলাই মারা যান ছয় জন। এরপর ১৮ই জুলাই সহিংসতা পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ পরিস্থিতি চলে ২০শে জুলাই রাত পর্যন্ত। ঢাকার মোহাম্মদপুর-বছিলা, রামপুরা-বাড্ডা, উত্তরা আর যাত্রাবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলেও পরে তা চলে যায় ভিন্ন পথে। কেন রাজধানীর চার এলাকা এতোটা বিস্ফোরণমুখ হয়ে উঠলো, কিভাবে সহিংতা এতটা দীর্ঘস্থায়ী হলো, কারা চালালো এসব তাণ্ডব সে বিষয়ে চারটি শিরোনামে খবর করেছে সমকাল। শিরোনামগুলো হল: যাত্রাবাড়ি-শনির আখড়ায় মাইকে উষ্কানি দিয়ে মানুষকে ক্ষেপানো হয়, উত্তরা-আবদুল্লাহপুরে পুলিশ ছাড়াও ছিল গুলির অন্য উৎস। মোহাম্মদপুর-বছিলায় সহিংসতার সঙ্গে বাড়ে অচেনা মুখ এবং রামপুরা বাড্ডায় বিক্ষোভ স্লোগানে প্রকম্পিত এলাকা হঠাৎ সহিংতা। এই চারটি শিরোনাম দিয়ে ঢাকার ওই চারটি জোনে সহিংস পুরো পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছে পত্রিকাটি।
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যহত হওয়া নিয়ে নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘দেশের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থাপনা শুধু মহাখালীর ওপর নির্ভরশীল নয়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) শনিবার এক এসএমএস দিয়ে জানিয়েছিল যে, ঢাকার মহাখালীতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ডাটা সেন্টার ও সঞ্চালন লাইন পুনঃসংযোগের কাজ চলমান রয়েছে, যা মেরামত করতে আরো সময় লাগবে।
এ নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের দাবি, দেশের কোনো একটি-দুটি ভবনে বা একটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও সারা দেশে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা জানান, নেটওয়ার্ক সিস্টেম মূলত বিভিন্ন মডিউলে কাজ করে। এসব মডিউলের একটি সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলে অন্য সংযোগগুলো চলমান থাকে। যার কারণে একটি ভবন বা এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও শুধু ওই ভবন বা এলাকায় সমস্যা তৈরি হবে। পার্শ্ববর্তী অন্য সংযোগগুলো চলমান থাকবে।
অথচ দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থা গত পাঁচদিন ধরে পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে ব্রডব্যান্ড সরবরাহ শুরু হলেও তা সীমিত আকারে। চালু করা যায়নি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।’
কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘কারাগারে তীব্র চাপ বন্দীর’। খবরে বলা হচ্ছে, সারা দেশে হঠাৎ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ধরপাকড় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বেশির ভাগ কারাগারে বন্দীর চাপ বাড়ছে। শুধু কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গতকাল পর্যন্ত বন্দী সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে কারাগার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
যা বন্দী ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বলে কারাগার সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এর মধ্যে নতুন বন্দী গিয়েছিল ৪৮২ জন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে আরো ৩৯৬ জনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এক সপ্তাহ আগে কারাবন্দীদের সাথে তাদের স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে পারছিলেন। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গত ১৯শে জুলাই থেকে অদ্যাবধি কারাবন্দীদের সাথে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সাক্ষাৎ বন্ধের পাশাপাশি কারাগার থেকে নিয়ম মোতাবেক যেসব বন্দী স্বজনদের সাথে (সরকারি খরচে) মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পেতেন সেটিও বন্ধ আছে। সম্প্রতি নরসিংদী জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর কারাগারের ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে পুলিশের অবস্থান নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংস ঘটনার পুরো বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূল্যায়ণ শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যের গাফিলতি ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পর্যালোচনা ও মূল্যায়ণ করতে গিয়ে উঠে এসেছে, পুলিশের জনবল সংকট, পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকা, ভাড়া করা বাসাবাড়িতে থানা ও ফাঁড়ি স্থাপনাসহ নানা সুযোগ সুবিধার ঘাটতির চিত্র।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মতবিনিময় কালে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘এতো বড় সহিংসতা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দারা আগাম তথ্য দিতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসব বিষয়েও মূল্যায়ণ করা হচ্ছে।’ নিয়ম অনুযায়ী থানা এমন জায়গায় হওয়ার কথা যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকবে। তাৎক্ষণিক যাতায়াত করা যাবে। অথচ থানা চলছে ঘর ভাড়া করে। যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সম্প্রতি পুলিশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়লেও তা চাহিদার তুলনায় কম।
তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনা এক দুইদিনে হয়নি, এক্ষেত্র সরকারের বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই সহিংস পরিস্থিতি আগে থেকে কেউ আঁচ করতে পারেননি। এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের ভূমিকা নিয়েই বার বার প্রশ্ন উঠছে।
কারফিউ শিথিল নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘কর্মচঞ্চল ঢাকার রাস্তায় যানজট’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল সড়কে যানজটের চিরচেনা রূপ ফিরে আসে। ছিল কর্মব্যস্ত মানুষের পদচারণ। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সীমিত সময়ের জন্য খোলে। ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ভিড় দেখা যায়। শিল্প-কারখানাগুলো গতকাল উৎপাদনে ফিরে এসেছে। গাজীপুরের সব পোশাক কারখানায় কর্মীদের কাজে ফিরতে দেখা গেছে।
কারফিউয়ের কারণে ঢাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের পরিবহনে গতকাল দূরপাল্লায় বাস চলেছে। তবে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বুধবার সকাল ১০টা থেকে গাবতলী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। তবে লঞ্চের বিষয়ে যাত্রী না পাওয়ার শঙ্কা করছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুরুতে আন্ত নগর ট্রেন চালানো হবে না। শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল চালু আছে। পুলিশি পাহারায় এসব ট্রেন চলাচল করছে।
সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Economy with deep scars limps along’, অর্থাৎ ‘গভীর ক্ষত নিয়ে অর্থনীতিতে স্থবিরতা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বুধবার দেশের ব্যবসা ও শিল্প কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক চিত্রে ফিরতে শুরু করেছে।
যদিও সাম্প্রতিক সহিংসতা, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা এবং চলমান কারফিউ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীর ক্ষত রেখে গিয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ সহিংসতায় গার্মেন্টস কারখানা ও দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং বন্দর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দেশ যখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ যেমন: উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রপ্তানি কমে যাওয়া এবং ক্রমাগত ডলার সংকটের সঙ্গে লড়ছে তখন সাম্প্রতিক এই সংকট যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের প্রভাব কোভিড মহামারীর চাইতেও বিরূপ হবে। এক অনুমান অনুসারে সহিংসতার প্রতিটি দিনে দেশের ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে যা স্বাধীন বাংলাদেশে আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে আস্তে আস্তে সব খুলতে শুরু করায় বুধবার থেকে পোশাক কারখানাগুলি পুনরায় উত্পাদন শুরু করেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হওয়ার সাথে সাথে আমদানি-রপ্তানিতে গতি ফিরেছে। এদিকে গ্রাহকরা নগদ উত্তোলন, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স নগদকরণ এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকের বাইরে লাইন ধরেছে। – বিবিসি বাংলা