ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক জনতা মিছিলে অংশ গ্রহন করেন। উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামপুরা ব্রিজে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম সন্ত্রাসী, দখলদার ও জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক গাজায় নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, আবরলীগ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়ছেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন, মহানগরী পশ্চিম শিবির সভাপতি সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে ড. রেজাউল করিম বলেন, বর্বর ইসরায়েল পবিত্র মাহে রমজানে আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে সাত শ’ কোটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে।

তিনি অতীতের ইতিহাস টেনে বলেন, ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ্য ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই জায়নবাদী নির্মমতায় মুসলিম উম্মাহর বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বরং চুড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে।

জামায়াত নেতা বলেন, গত প্রায় ১৬ বছর পতিত আওয়ামী বাকশালী ও ফ্যাসীবাদী শক্তি দেশে অপশাসন, দুঃশাসন ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। তারা ইসরাইল থেকে অস্ত্র আমদানী করে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ মোহাম্মদ কামারুজ্জান ও শহীদ মীর কাসেম আলীসহ জাতীয় নেতাদের শুধু হত্যা করা হয়নি বরং অন্য শীর্ষ নেতৃত্বকেও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা ও বিচারকরা পালিয়ে গেলেও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অবরুদ্ধ রয়েছেন। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে এ টি এম আজহারসহ আলেম-উলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।

ওই পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, ‘সব রীতিনীতি, আইন-কানুন ও ন্যূনতম মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এই পবিত্র রমজান মাসে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।’

ইসরায়েলি হামলার নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আপনার একান্ত মেহেরবানিতে গাজাবাসীকে, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, সাহায্য করুন ও জালিমদের পরাজিত করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *