পুলিশ সংস্কারে শীঘ্রই কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিকেলে উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির (United Nations Development Program) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের (Stefan Liller) নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকালে দুই পক্ষের মধ্যে পুলিশ সংস্কার, বন্যা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। তবে শীঘ্রই পুলিশ সংস্কারের লক্ষ্যে প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হবে। প্রাথমিক কমিটি কোন প্রক্রিয়ায়, কিভাবে ও কাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে সংস্কার করা হবে- তা নির্ধারণ করবে। প্রাথমিক কমিটির সুপারিশ ও মতামত গ্রহণ পূর্বক প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেয়া হবে ও পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। সে সময় ইউএনডিপি ও আগ্রহী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। তবে যেসব মতামত ও পরামর্শ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সঙ্গতিপূর্ণ হবে, কেবল সেগুলোই পরবর্তী পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের জন্য বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কার এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে জনগণ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে এবং কোনো সমালোচনা না হয়। তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত গ্রহণ পূর্বক ব্যাপক পরিসরে এ সংস্কার বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের বন্যা পুনর্বাসনে ইউএনডিপি সমীক্ষা চালাচ্ছে বলে আবাসিক প্রতিনিধি জানান। তাছাড়া এ কাজে ইউএনডিপি’র পক্ষ থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে বলে সভাকে অবহিত করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে সারাদেশে গত এক সপ্তাহে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রিভলবার সাতটি, পিস্তল ৩০টি, রাইফেল নয়টি, শটগান ১৫টি, পাইপগান তিনটি, শুটারগান ১৬টি, এলজি পাঁচটি, বন্দুক ১৫টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার একটি, এসএমজি তিনটি এবং এসবিবিএল তিনটি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসকল তথ্য জানা গেছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং র্যাব। উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে।