ইমরান খানের স্ত্রীর নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের প্রায় এক হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান তারা। গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরবর্তীতে ইসলামাবাদ পুলিশের প্রধান নিশ্চিত করেছেন। তবে গুলি করার বিষয়টি ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান আলী রিজভী অস্বীকার করেছেন। বরং পুলিশ আধাসামরিক বাহিনীগুলোকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
আলী রিজভী বলেন, মঙ্গলবারের অভিযানে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তারের মোট সংখ্যা ৯৫৪-তে পৌঁছেছে। ঘটনাস্থল থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও কাঁদানে গ্যাসের বন্দুকসহ অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ প্রধান। তবে কয়েক ঘন্টার অভিযান শেষে বিক্ষোভস্থল ফাঁকা করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ইমরান খানের শীর্ষ সহযোগী ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশি অভিযান শুরুর পরপরই তিনি পালিয়ে যান। বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আলী আমিন। ‘শত শত আন্দোলনকারী গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ও ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। আলী আমিন গান্দাপুর তার শাসনাধীন প্রদেশের মানসেহরা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বলেন, ইমরান খানের স্ত্রী এবং তিনি দুজনই সরাসরি আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডিডাব্লিউ