জোহরান মমদানি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। একজন মুসলমান মেয়র হচ্ছেন ভেবে বেশ উল্লসিত আমেরিকান মুসলিম সোসাইটি।
নিউইয়র্কের দোকানপাট, বিলবোর্ড, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টার এবং ভিডিও ছেয়ে গেছে তার। পছন্দের ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি।
তরুণ ভোটারদের বিশাল ঢেউ ছিল জোহরান মমদানির পক্ষে। তারা বলছেন ‘শহরটা আবার জেগেছে। এটা একটা বিদ্যুৎ ছড়ানো অনুভূতি।’
নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনী বোর্ড জানিয়েছে, দুই লাখের বেশি ভোটার কেবল একজন প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন, যার অর্থ হলো, মমদানির হাতেই বিজয়ের চাবিকাঠি।
নিউইয়র্ক সিটিতে মেয়র হিসেবে ডেমোক্রাট নোমিনেশন নিশ্চিত করে বিশাল সাফল্য অর্জন করে সবাইকে হতবাক করেছেন, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার তরুন ডেমোক্র্যাট সদস্য জোহরান মামদানি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ইতিহাস গড়েছি।’ সমর্থকদের উদ্দেশে মমদানি আরো বলেন, ‘নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায়, এটি সবসময় অসম্ভবই মনে হয়— যতক্ষণ না তা বাস্তবে ঘটে। আমরা তা করে দেখিয়েছি।’
এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো পরাজয় স্বীকার করে বলেছেন, ‘আজ রাত তার, সে জিতেছে।’ তিনি জোহরান মমদানিকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনী ফলাফল শুধু মেয়রের প্রার্থী নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ পথচলার দিকও নির্দেশ করছে।
আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির নতুন প্রজন্ম দেশটির মূলধারার রাজনীতিতে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় বেশ উজ্জিবিত। কারণ, নিউইয়র্কের মেয়র হওয়ার মানে রাজনীতির শীর্ষে চলে আসা। আগের তিনজন মেয়রের সবাই পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিলেন।