লেখক ফৌজিয়া খাতুন রানার নতুন ৪টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রকাশ পেল পর্তুগাল প্রবাসী এই লেখিকার নতুন এই উপন্যাসগুলো।
অমর একুশে বইমেলায় গ্রন্থ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, লেখক ফৌজিয়া খাতুন রানা, অভিনেতা কচি খন্দকার, অ্যাডভোকেট তানবীর সিদ্দিকী, সংগীতশিল্পী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফাহিম ফয়সাল, নির্মাতা রেজা ঘটক, হাসান আহমেদ প্রমুখ।
বইগুলো প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই লেখালিখি করি তবে সেগুলো কখনো প্রকাশ করিনি। নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করে গেছি। এখন অভিজ্ঞতার আলোকে বই প্রকাশ করছি। পাঠকের উৎসাহ দেখে সাহিত্যচর্চায় আরও মনযোগী হই। চেষ্টা করি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে নিয়মিত লেখালিখিও করার। কারণ, বাংলা ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বাংলা সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই।’
ফৌজিয়া খাতুন রানা আরও বলেন, ‘পাঠক বইগুলো থেকে আমার চিন্তা ও মনের অনুভূতিগুলো জানতে পারবেন। আমার উপন্যাসগুলোতে আছে জীবনের গল্প, মোহ, প্রেম-বিরহ-প্রণয়, নানান সামাজিক দ্বন্ধ ও টানাপোড়েন। পাশাপাশি আছে প্রবাসজীবন ও স্বদেশের জীবনযাপন ও কালচারাল শক। আশা করি জীবন ঘনিষ্ঠ এই লেখাগুলো আমার পাঠকদের হৃদয়ে অনুরণন ছড়াবে।’
নতুন উপন্যাস ‘অপরাজিত প্রেম’ প্রকাশ করেছে আফসার ব্রাদারস (স্টল নং ৫৩৬-৫৩৭), ‘অনাহূত ভালোবাসা’ প্রকাশ করেছে রাবেয়া বুকস (স্টল নং ৫৩৮-৫৩৯), ‘হৃদ মাঝারে তুমি’ প্রকাশ করেছে শব্দ শৈলী (স্টল নং ৩৬৪-৩৬৭) এবং ‘নিষিদ্ধ গল্প’ প্রকাশ করেছে স্বদেশ শৈলী (স্টল নং ১১০)।
‘নিষিদ্ধ গল্প’ উপন্যাসের সারাংশ…..
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ঋদ্ধি বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকে। তীব্র মানসিক চাপের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সমাজসেবামুলক কাজে আত্মনিয়োগ করে। নারীদের গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে তার কাছে, তাদের প্রতি জন্মে ঘৃণাবোধ। ঋদ্ধি যখন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে নিজের প্রতি এবং অন্যের প্রতি ঠিক সেই সময় ঈষিকা এলো তার জীবনে। ঈষিকার বিস্ময়কর রূপে অধিকাংশ ছেলে মোহিত হয়। তার প্রেমে পড়ে অনেক ছেলেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঋদ্ধির সাথে দেখা হয় ঈষিকার। দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়, একদিনও ঋদ্ধি পলক তুলে ঈষিকার দিকে তাকায় না। চরম অপমান বোধ করে ঈষিকা। নিজের ইগোকে সুরক্ষা করার প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ঋদ্ধির সাথে ছলনা শুরু করে। শুরুতে ঈষিকার উদ্দেশ্য ছিল ছলনার মাধ্যমে ঋদ্ধিকে তার প্রতি ভালোবাসায় আসক্ত করা এবং শেষে ছুড়ে ফেলা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঈষিকা পদক্ষেপ নিল। শেষ পরিণতিতে যেয়ে ঈষিকার সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হল। ঋদ্ধি নয় বরং সে প্রবল রূপে আকর্ষিত হলো ঋদ্ধির প্রতি। ঋদ্ধি তা বুঝতে পেরে নৈশব্দে দূরে সরে যায়। মাসের পর মাস অপেক্ষা করে ঈষিকা ঋদ্ধির জন্য। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় ঋদ্ধির মুখোমুখি হওয়ার জন্য। একসময় মুখোমুখিও হয় ভালোবাসার প্রস্তাব নিয়ে। নিবেদিত ভালোবাসায় প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রচণ্ড অসুস্থ্য হয়ে পড়ে ঈষিকা। নানাবিধ সমস্যা এবং ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে উপন্যাস জুড়ে। অবশেষে ঋদ্ধির মা তাদের প্রেমে সাফল্য আনতে সেতুবন্ধন গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।