রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সহ ১০ নেত্রীকে হল ছাড়া করলেন আন্দোলনকারীরা। হল ছাড়তে বাধ্য হওয়া ছাত্রলীগ সভাপতির নাম আতিকা বিনতে হোসাইন। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিরও সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বর্ণালী ঘোষ বর্ণ, সামিহা মাহবুব, সাজিয়া রহমান সিলভী, বিপর্ণা রায় ও সাইফুন্নেসা ইলমি। আরও চারজনের নাম জানা যায়নি। তবে তারা সবাই হল কমিটির শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে রাতে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা৷ অপরদিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের সমাবেশ শেষে হলে ফেরেন ছাত্রলীগ নেত্রীরা। এরপরই বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তাঁদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। কয়েকজনকে মারধরও করেন।
এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ১০ নেত্রীকে রাত ১২টার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে হল থেকে করে নিয়ে আসে প্রক্টরিয়াল বডি৷ মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রক্টোরিয়াল বডি ছাত্রলীগ নেত্রীদের বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় অন্য ছাত্রীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই রোকেয়া হলের ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষ নিলুফার পারভীনকে ঘিরে ধরেন৷ তারা হাতে লেখা একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রাধ্যক্ষকে চাপ দেন। একপর্যায়ে প্রাধ্যক্ষ সেখানে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন৷
ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা রোকেয়া হলের মেয়েরা আজ এই মর্মে লিখিত নিচ্ছি যে আজ থেকে রোকেয়া হলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত-শিবির) নিষিদ্ধ করা হলো৷ কোনো ধরনের পলিটিক্যাল রুম (রাজনৈতিক কক্ষ) বা গণরুম থাকবে না৷ রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে হবে না৷ কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা হলের সঙ্গে থাকবে না৷ আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এর দায় প্রশাসন ও হল প্রাধ্যক্ষকে নিতে হবে৷ আজ থেকে রোকেয়া হলকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হলো।’