একজন মানুষের জীবনে সৌন্দর্য বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে চুল। আর তাই তো নিজেদের চুলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। কারণ কোনও অনুষ্ঠান হোক অথবা বন্ধুদের সাথে বাইরে ঘুরতে যাওয়া হোক যে কোনও অবস্থাতেই আমারা চাই চুল যেন সুন্দর ও সতেজ থাকে। আমরা কিছুতেই চাই না আমাদের চুলগুলো দেখতে রুক্ষ প্রাণহীন মনে হোক। কিন্তু এ চুলের যত্ন নিতে গিয়ে নিজেরাই তৈরি করে ফেলি নানান সমস্যা।
চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চুল পড়া বা অ্যালোপেসিয়া। কিন্তু প্রায়ই আমরা এর পিছনের মূল কারণ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু আমাদেরই এমন কিছু ভুল কাজ আছে যেগুলো আমরা আমাদের চুলের সাথে করে থাকি, যার ফলে আমাদের চুল গুলো দিনদিন খারাপ হতে থকে এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
চুলের জন্য সচারচর যে সাধারণ ভুলগুলো আমরা করি তা হচ্ছে-
টাওয়াল দিয়ে জোরে চুল ঘষা:
চুল ধোয়ার পর টাওয়াল দিয়ে জোরে জোরে চুল ঘষে পানিটা শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। অনেকেই এই কাজটা করে থাকেন। এতে চুলের আগা ফেটে যায়। তাই চুল সবসময় টাওয়াল দিয়ে আস্তে চেপে চেপে চুলের পানিটুকু শুষে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।বেশি সময় ধরে চুল ভেজা রাখা:
অনেক বেশি সময় ধরে চুল ভেজা রাখা। প্রায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে।এর ফলে চুল প্রাণহীন,রুক্ষ হয়ে যায়।চুল পড়ার পরিমণও বৃদ্ধি পায়।
টাইট করে চুল বাঁধা:
পনিটেইল বা বেণি করার সময়ে অনেকে চুল খুব টাইট করে বাঁধে। ছোটবেলা থেকে চুল টেনে বাঁধার অভ্যাসটিতে অনেকের কপাল বড় হয়ে যায় এবং চুল পাতলা হয়ে যায়। চুল পাতলা হয়ে গেলে এভাবে টেনে বাঁধার অভ্যাস বর্জন করতে হবে এবং চুল বাঁধলেও আলগা করে বাঁধার অভ্যাস করা উচিত।
ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার:
হেয়ার মাস্ক, সেরাম ইত্যাদি তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। কিন্তু এগুলোর ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট চেক করে নিলে দেখা যায় ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টগুলো কোয়ালিটি মেনটেইন করে ফলে সেগুলো চুলের জন্য সেইফ। কিন্তু ফেইক, নিম্নমানের প্রোডাক্ট চুলের ক্ষতি করবে। চুলের যত্নে যতটা সম্ভব ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
চুলে তাপ দেওয়া:
অনেকেই চুল কার্ল করেন, বা ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করেন। এগুলো চুল ও তালু দুইয়ের জন্যই খারাপ। এছাড়া দৈনিক হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করাটাও খারাপ। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের সময়ে তাপ কমিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।