বাক-স্বাধীনতার কথা বলে একাধিকবার মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুইডেন। তবে কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে এখন অবস্থান পাল্টাচ্ছে।
সুইডেন কোরআন পোড়ানোর কারণে চটেছে তুরস্কসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েফ এরদোগান সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, দেশটিকে ন্যাটোতে যুক্ত হতে সমর্থন দেবেন না তিনি। এরপরই অবস্থান নরম করলো সুইডেন।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এ ধরণের সমাবেশের আর কোনো অনুমতি দেয়া হবে না।
ডয়চে ভেলে বলছে, সুইডেনের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণা বেশ বিরল। দেশটিতে গণতান্ত্রিক অধিকার মেনে কোনো সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না।
কিন্তু কিছুদিন আগেই এই ধরনের একটি সমাবেশে কোরআন পোড়ানো হয়। তারপর তুরস্ক জানিয়েছিল, তারা আর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সুইডেনকে সমর্থন করবে না। আর ন্যাটোর নিয়ম হলো, সব সদস্য দেশের সম্মতি ছাড়া নতুন কোনো দেশ সদস্য হতে পারবে না।
এর প্রেক্ষিতে সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী সাপো জানিয়েছে, জানুয়ারির সমাবেশের পর আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সুইডেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই তারা এ ধরনের প্রতিবাদের অনুমতি দিচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের নিরাপত্তার উপর হুমকি বেড়েছে। বিদেশেও সুইডেন ও সুইডিশদের স্বার্থক্ষুণ্ণ হতে পারে। সুইডেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়তে পারে।
জানুয়ারির ওই ঘটনার পরই তুরস্ক জানিয়ে দেয়, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সুইডেনের সঙ্গে তারা কোনো আলোচনা করবে না। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনাও তারা বাতিল করে আঙ্কারা। -বিবিসি