সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে (বিডাব্লিউসি)। সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের বারাকা ইটারিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে সকল ক্ষেত্রে বঞ্চিতরা সমতা আশা করছেন। তাই প্রবাসীবহুল সিলেটবাসীও এখন তাদের ন্যায্য দাবি পুরণ হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের সভাপতি আব্দুল মুকিত বলেন, নোবেল জয়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তরবর্তী সরকার প্রবাসীদের ন্যায্য দাবি পুরণ করবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা। অতীতের সরকারসমূহ প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা করেছে। লন্ডন এসে অনেক মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ওয়াদা করলেও দেশে গিয়ে তারা বেমালুম ভুলে গেছেন। বর্তমান সরকার এমনটা করবেনা বলেই আমরা আশা করি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ গাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, দৈনিক সময় ও মানব টিভি সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী, আমেরিকা প্রবাসী আনোয়ার হোসেন, ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন লাকি, কোষাধ্যক্ষ কদর উদ্দীন, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসতাব উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, লায়েক মিয়া, ফরহান আহমদ চৌধুরী, ফয়সল আহমদ, আব্দুর রহিম বেগ, তাহমিদ জাওয়াদ, মাজিদুর রহমান রুনু, ময়নুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, দারা মিয়া, ছালেহ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। গ্রেট ব্রিটেন-সহ প্রবাসীদের মাঝে এই দাবির পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরী হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে লন্ডন-সিলেট- লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর কিছুদিন পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর বহু আন্দালন ও প্রতিক্ষার পর ২০২০ সালে আবারো চালু হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিমান লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকা গেলেও সিলেটের যাত্রীদের অনেক বেশী ভাড়া দিতে হয়। এমন বৈষম্যমূলক আচরণ খুবই অন্যায় এবং অপরাধের নামান্তর।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী যাত্রীদের জিম্মী করে বিমান অত্যধিক ভাড়া নিচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রবাসীরা বাংলাদেশে যেতে পারছেন না। নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের স্বদেশমুখী করতে হলে লন্ডন-সিলেট- লন্ডন ফ্লাইটের ভাড়া কমাতে হবে। অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সুবিধায় সমৃদ্ধ করা এবং সাউদিয়া, দুবাই, কাতার ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-সহ বিদেশী বিমান ওঠানামার সুযোগ দিতে হবে।