অনুবাদ মাসুম খলিলী :
এক. আপনি সবচেয়ে দরিদ্রদের মধ্যে একজন হতে পারেন, তবে আপনি এখনও অন্যদেরকে সবচেয়ে মূল্যবান উপহার দিতে পারেন, একটি আন্তরিক প্রার্থনার আকারে। এগিয়ে যান। এটা যেন হৃদয় থেকে আসে সেটি নিশ্চিত করুন।
দুই. আপনার সাথে খারাপ আচরণ করা হলে অথবা আপনাকে নিয়ে গুজব বানানো হয়ে থাকলে ভঙ্গুরতা অনুভব করা স্বাভাবিক। তবে মনে রাখবেন, কিছু জিনিস আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রতিটি উদ্বেগ, ভয় ও উৎকণ্ঠাকে এক একটি প্রার্থনায় পরিণত করুন। সর্বশক্তিমানের কাছে নিজেকে সমর্পন করার কারণ হিসাবে দেখুন এটিকে। আপনার নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে ছেড়ে দিন!
তিন. সম্পদ ও মর্যাদায় মুগ্ধ হওয়া বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে, যারা ভালো সময় ও খারাপ সময় উভয় ক্ষেত্রেই অন্য মানুষের সাথে ভালো আচরণ করেন তাদের দ্বারা মুগ্ধ হন। মনে রাখবেন একটি হিংসামুক্ত হৃদয় একটি সুখী হৃদয়। অন্যের জন্য খুশি হন এবং তিনি আপনার খুশিতে খুশি হবেন। জেনে রাখুন যে, সর্বশক্তিমানই সিদ্ধান্ত নেন, কে কী পান এবং কেন পান।
পূনশ্চঃ
এক. আপনি দাঁড়াবেন। আপনি পড়ে যাবেন। আপনি আবার উঠবেন। জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো এমনই। এই পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী হয় না। চিরস্থায়ী যা কিছু তা কেবলই পরকালে।
দুই. আপনি কি উদ্বেগ বোধ করছেন? ভাবছেন সামনে কি হবে? আপনার মনের দৌড় এবং আপনার হৃদয়ের দৃঢতা দ্রুত খেই হারাচ্ছে। আপনি জানতে চাইছেন যে এই সব কিছুর শেষ কোথায়? এক মুহুর্তে আপনি আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছেন, পরের মুহুর্তে আপনি আবার শান্ত হচ্ছেন। সর্বশক্তিমান আপনাকে আম্বস্ত রাখতে চান যে, সে যাই হোক না কেন, তিনি সর্বদা আপনার সাথে আছেন।
তিন. কষ্ট এবং বিপর্যয় সম্পর্কে দুঃখজনক সত্যটি হ’ল এসব আসলেই আপনার প্রকৃত বন্ধু এবং প্রকৃত শত্রুদের প্রকাশ করে দেয়। কে আপনাকে সাহায্য করবে? কে নিজেকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে? কে কেবল সেখানে দয়া মাখা কিছু কথা বলবে? আপনি সম্ভবত তাদের এক হাতের আঙ্গুলে গণনা করতে পারেন! এটাই বাস্তব সত্য!
দ্রষ্টব্যঃ
তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর এবং শোনো, আনুগত্য কর ও ব্যয় কর, তোমাদের নিজেদেরই কল্যাণ হবে। আর যারা অন্তরের কার্পণ্য হতে মুক্ত, তারাই সফলকাম। (সুরা তাগাবুন : ১৬)
অতএব আত্মীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকে তাদের প্রাপ্য দান কর। যারা আল্লাহর মুখমন্ডল (দর্শন বা সন্তুষ্টি) কামনা করে, তাদের জন্য এটি শ্রেয় এবং তারাই সফলকাম। (সুরা রুম : ৩৮)
* লেখক: মুফতি মনক (ডক্টর ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক) ইসলামি স্কলার ও জিম্বাবুয়ের প্রধান মুফতি * অনুবাদ: মাসুম খলিলী সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট