ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকাল ৫টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আমানউল্লাহ খান স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সিস, এশিয়ানেট, ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট এবং এশিয়ান মিডিয়া ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের মতো প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আধুনিকের (জাতীয় ধূমপানবিরোধী সংস্থা) সম্মানিত সদস্য এবং সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইউএনবি ও কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে তার অবদান মনে রাখার মত। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা যা, ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশ করে।