সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ শনিবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং জামায়াত-শিবির-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের সড়কে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। সেখানে ইসলামী ছাত্র শিবির অংশ নেয়ার পর একে একে অন্যান্য ইসলামী দল সমূহ যোগ দেন। এরপর থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
শনিবার সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকারকে আলটিমেটাম দেয়া হয়। রাতে এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠকে বসেন উপদেষ্টা পরিষদ। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি পড়ে শোনান। “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
আরো জানানো হয়েছে, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।