সুমৃত্তিকা জানো পৃথিবীতে সব থেকে বেশি দরকার
সুশীতল হাওয়ার
তুমি খুলে দেবে খিল সেই ঝরোকার?
কখনো বসন্ত যদি দোলায় পল্লব এই রাতে
তুমি তো ফাল্গুনি মেয়ে, আহা, তোমার চোখের নীড়ে
জেগে আছে নীল পাখি লাল জবা কতো কৃষ্ণচূড়া
সুমৃত্তিকা, বাংলার হৃদয় বড়ো শোকাতুরা
আমি হাঁটি শুধু সেই নদী শিকস্তির তীরে;
সুমৃত্তিকা, আমাকে কি দেবে কেবল কটাক্ষ? না কি হিমঝরা
সুখের জলধি
কতো আর পাড়ি দেবো নদ-নদী
স্রোতস্বল বঙ্গোপসাগর কাল নিরবধি।
শ্যামল প্রেয়সী সুমৃত্তিকা
এ বাংলার দারুণ দহন এই বুকে শুধু দুঃখ দেবে, দাও
কালের ক্রন্দসী আমাকে কাঁদাও—
আমার জীবনে কতো যে রোদন, আহা!
জানো
সন্ধ্যার স্বাতীর মতো নিবু নিবু জ্বলে
বাতাবি লেবুর ঝাড়ে তুমি দুঃখ দাও।
কেবল কাঁদাও
আমাকে কাঁদাও।