ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্রতা এবং ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের ফলে গাজায় ‘মানবিক বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়েছে। এর অবসানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় হতে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা প্রয়োগ করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের দৃষ্টিতে কোনো বিষয় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হলে ৯৯ ধারা ব্যবহার করে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করতে পারেন। ২০১৭ সালে মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কখনো এ ধারা ব্যবহার করেননি গুতেরেস। এমনকি গত ৩৪ বছরেও জাতিসংঘের ৯৯ ধারা ব্যবহার করা হয়নি।
গাজা ‘শিশুদের কবরস্থান’ হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের প্রধান গুতেরেস যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার তিনি সদস্যদের অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব হুমকি রয়েছে, তা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গাজা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এবং এ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপের ঘাটতির কারণেই তিনি ৯৯ ধারা প্রয়োগ করেছেন বলেও জানান গুতেরেস।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠির পেয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, তারা পরিষদে একটি নতুন খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাতে গাজায় মানবিক কারণে আবারও দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অপরদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ৯৯ ধারা প্রয়োগের পদক্ষেপকে ভালোভাবে নেননি জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মহাসচিবের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে উল্লেখ করেছেন এরডান। সুত্র: আল জাজিরা, এপি ও রয়টার্স